সোমবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৫

আইফোন থেকে অ্যান্ড্রয়েডে সুইচ করবেন যে সকল কারণে

দি টাইমস নিউজ: কিছুদিন আগে
পর্যন্তও স্মার্টফোন বলতেই মানুষ
বুঝতো 'আইফোনকে', যা সময়ের সাথে
এখন বদলে গেছে;এসেছে
অ্যান্ড্রয়েড এবং উইন্ডোজ ফোন।
অ্যাপলের আইফোনের প্রতি অনেক
ব্যবহারকারিদের একটি আক্ষেপ ছিল
এর ছোট স্ক্রিন সম্পর্কে।
সম্প্রতি অ্যাপল তাদের আইফোন
ডিভাইসগুলোতে যুক্ত করেছে বড়
ডিসপ্লে ইউনিট যা
ব্যবহারকারিদের মুখ বন্ধ করে
দিতে সক্ষম হয়েছে সহজেই। তবুও
কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড আইফোনের
চাইতে বেশি কিছু দিক দিয়ে
এগিয়ে রয়েছে, যদিও তা বেশিরভাগ
আইফোন ব্যবহারকারি স্বীকার
করতে চান না। আবার অনেক আইফোন
ব্যবহারকারী রয়েছেন যারা আইফোন
থেকে অ্যান্ড্রয়েডে সুইচ করতে
গিয়েও সাহস পাচ্ছেন না, নতুন
অপারেটিং সিস্টেম কেমন না
কেমন হয় ভেবে। চলুন, যারা এই
সমস্যায় ভুগছেন বা যারা মানতে
চান না যে অ্যান্ড্রয়েড এগিয়ে
আছে তাদের সাথে শেয়ার করি
বেসিক কিছু কারণ যাতে করে
আপনার সহজেই বুঝতে পারবেন যে
কোন কোন কারণে অ্যান্ড্রয়েড
এগিয়ে আছে আর কী কারণেই বা
আইফোন থেকে অ্যান্ড্রয়েডে
সুইচ করা উচিৎ।
আইওএস এর তুলনায় অ্যান্ড্রয়েড
অনেক সস্তা
শখের আগে চলুন আজ প্রথমেই সাধ্য
নিয়ে কথা শুরু করা যাক। এমন
কিন্তু নয় যে সবার শখ থাকেনা!
তবে তিক্ত বাস্তবতায় সেই
শখগুলোকেই জীবন দেয়ার সাধ্য
থাকেনা বেশির ভাগ মানুষেরই।
আপনি বাংলাদেরশের কথাই চিন্তা
করুন না কেন! আপনি হয়তো খুবই কম
টাকা ইনকাম করেন, তবে সেই কম টাকা
ইনকামের বিষয়টি নিশ্চয়ই আপনার
মনের মধ্যে প্রতি নিয়ত তৈরি হতে
থাকা শখগুলোকে একটি লিমিটে
বাঁধার অধিরকার রাখেনা, তাইনা?
শখকে দমিয়ে রাখা যেমন কষ্টের
তেমনি আবার কিছু শখকে বাস্তবে
রুপ দেয়াটাও হয় অনেক কঠিন।
সংখ্যার হিসাবেই যখন নামলাম তখন
সহজ একটি তুলনাই করে ফেলা যাক
চলুন। তুলনার জন্য আমরা অ্যাপলের
একটি স্মার্টফোন আইফোন ৬ এবং
অ্যান্ড্রয়েডের স্যামসাং
গ্যালাক্সি এস৫ ডিভাইস দুটিকে
বাছাই করলাম। একটি আইফোন ৬
ডিভাইসের মূল্য প্রায় ৬৩৯ ইউএস
ডলার! তাও এটি এই মডেলটির তিনটি
স্টোরেজ ভার্সনের মধ্যে
সবচাইতে কম স্টোরেজের ভার্সনটি,
যা হচ্ছে ১৬ গিগাবাইট। আপনি যদি
আইফোন ৬ ৬৪ গিগাবাইট ভার্সন বা
আইফোন ৬ ১২৮ গিগাবাইট ভার্সনটি
ব্যবহার করতে চান তবে আপনাকে খরচ
করতে হবে যথাক্রমে ৭৪৯ ইউএস ডলার
এবং ৮৪৯ ইউএস ডলার। আর অন্যদিকে
আপনাকে একটি নতুন ১৬ গিগাবাইটের
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৫
ডিভাইসের জন্য খরচ করতে হচ্ছে
মাত্র ৫৫০ ইউএস ডলার। ভাবছেন, এটার
মেমরী স্টোরেজ কম? ঠিক আছে,
মেনে নিলাম যে ১৬ গিগাবাইট
আপনার জন্য কম। আপনি কিন্তু
সহজেই মাত্র ১০০ ডলারের
কাছাকাছি খরচ করে অ্যামাজন
থেকে ১২৮ গিগাবাইটের মেমরি
কার্ড কিনতে পারছেন। তাহলে এখন
হিসাব করুন কত দাড়াচ্ছে? সহজ
ভাষায়, আপনি একটি স্যামসাং
গ্যালাক্সি এস৫ ( ১৪৪ গিগাবাইট
স্টোরেজ ), একটি রিপ্লেসাবল
ব্যাটারি এবং ওয়াটার প্রোটেকশন
পাচ্ছেন আইফোনের চাইতে অনেক কম
মূল্যে! আর আপনি যদি টেক নিয়ে
ঘাটাঘাটি করেন বা স্মার্টফোন
সম্পর্কে যদি আপনার থেকে থাকে
ভালো ধারণা তবে আপনি নিশ্চয়ই
জানেন যে স্যামসাঙ্গের ডিভাইস
গুলোকে অ্যান্ড্রয়েড
ডিভাইসগুলোর মধ্যে সবচাইতে
এক্সপেন্সিভ ডিভাইসের
তালিকাতেই রাখা হয়ে থাকে।
তাহলে, হিসেব মতে
অ্যান্ড্রয়েডের একটি দামী
ডিভাইসেরও খরচ অনেক কম হয়ে থাকে
অ্যাপলের ডিভাইসগুলোর তুলনায়।
অনেকেই প্রশ্ন রাখতে পারেন যে
'আমি একবার বললাম কম ইনকামের কথা,
আবার তুলনা দিচ্ছি অ্যাপল ৬ এবং
গ্যালাক্সি এস৫ এর মত বাঘা বাঘা
সব ডিভাইসের মধ্যে!' আপনার মনে
যদি এই প্রশ্ন উদয় হয়েই থাকে তবে
তার উত্তর হচ্ছে, আগেও বলেছি
স্বপ্ল ইনকামের অর্থ এই নয় যে
আপনার শখগুলোও হতে হবে স্বপ্ল!
আর অন্যদিকে, আমি এর টাইটেলে
স্পেসিফিক ভাবে লিখে দিয়েছি
'আইওএস' এবং 'অ্যান্ড্রয়েডের'
কথা। আপনি অ্যাপল ৬ কেন, ইচ্ছে
হলে তুলনা করতে পারেন অ্যাপল
৪এস এর সাথেও আর বিপক্ষে রাখুন
সিম্ফোনি বা ওয়ালটনের
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনগুলো!
এবার তুলনা করুন? ক্ষতি কি? কম
মূল্যের সিম্ফোনি, ওয়ালটন,
লাভা, মাইক্রোম্যাক্স কি খারাপ
ডিভাইস দিচ্ছে?! বরং, সাধ্যের
মধ্যে সকল সুখতো অ্যান্ড্রয়েডই
এনে দিচ্ছে।
পারসোনালাইজেশন /
কাস্টোমাইজেশন
আপনি যদি একজন সৌখিন
স্মার্টফোন ব্যবহারকারি হয়ে
থাকেন এবং যদি আপনার
স্মার্টফোনটিকে যতটুকু সম্ভব
কাস্টোমাইজ করতে চান তবে আপনার
জন্যই অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন।
অ্যান্ড্রয়েড
স্মার্টফোনগুলোতে আপনি
ইচ্ছেমত বলতে গেলে প্রায়
প্রতিটি স্তর নিজের মত করে
কাস্টোমাইজ করে নিতে পারবেন।
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং
সিস্টেমের জন্য অ্যাপ স্টোরে
রয়েছে অসংখ্য অ্যাপ যেগুলোর
মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনটিকে
আপনার মনের মত করে পরিবর্তন করতে
পারবেন। যেমন,
লঞ্চারঃ অ্যান্ড্রয়েড
অপারেটিং সিস্টেম বিশিষ্ট
স্মার্টফোনের জন্য
ইন্টারনেটে আপনি পাবেন
অসংখ্য লঞ্চার যেগুলোর
রয়েছে সম্পুর্ন আলাদা
ইন্টারফেস, ফন্ট এবং এমনকি আইকন
সেট পর্যন্ত। বিভিন্ন
লঞ্চারের ট্র্যান্সেকশন
ইফেক্ট থেকে শুরু করে প্রায় সব
ব্যাপারেই আপনি পাবেন আলাদা
ছোঁয়া। মিইউই থেকে শুরু করে
আইফোনের লঞ্চার পর্যন্ত আপনি
খুঁজে পাবেন প্লে স্টোর
গুলোতে। আপনি যদি স্টাইলিশ
ইউজার হন এবং আপনার
স্মার্টফোনের রিসোর্স সেভ
করা সম্বন্ধে আপনার যদি কোন
মাথাব্যাথা না থেকে থাকে
তবে আপনি ব্যবহার করতে পারেন
অনেক রকম ইফেক্টের এবং
লেয়ারের লঞ্চার - যেমন, বাজ
লঞ্চার, আর যদি আপনি চান আপনার
র্যা ম এবং সিপিইউকে যতটা সম্ভব
ফ্রি রাখতে তবে এর জন্যেও
রয়েছে অনেক সিম্পল লঞ্চার,
যেমন - অ্যাপেক্স লঞ্চার।
উইগেটঃ বর্তমানে
অ্যাপস্টোরে যত উইগেট রয়েছে
এবং যে হারে প্রতিনিয়ত
তালিকায় যোগ হচ্ছে এমন সব
উইগেট যার ফলে আমার মনে হয়
আপনার কল্পনায় আসা প্রয়োজনীয়
উইগেটটি আপনি প্লে-স্টোরেই
খুঁজে পাবেন। ঘড়ি থেকে শুরু
করে ক্যালেন্ডার - কি নেই এই
উইগেটের লিস্টে!!
লাইভ ওয়ালপেপারঃ একবার প্লে
স্টোরে ভিসিট করে আসুন যদি
এখনোও না করে থাকেন, অবাক হয়ে
যাবেন এর লম্বা তালিকা দেখে।
এগুলোতো গেল সিম্পল বা বেসিক
ব্যবহারকারিদের জন্য বেসিক
নির্দেশনা। আপনি যদি চান তবে
আপনি কিন্তু শুধু লঞ্চার এবং
উইগেটই নয়, আপনি ইচ্ছে করলে
স্ট্যাটাস বারের ঘড়ি, সিগন্যাল
বার থেকে শুরু করে নোটিফিকেশন
বারও আপনার ইচ্ছে মত কাস্টোমাইজ
করে নিতে পারবেন, তবে এর জন্য
আপনাকে সামান্য কিছু পড়াশোনা
করতে হবে এবং আপনার
স্মার্টফোনটিকে রুট করে নিতে
হবে।
অ্যাপলে যে কাস্টোমাইজেশন করা
যায়না ঠিক তা নয়, তবে অ্যাপলের
কাস্টোমাইজেশনও অনেকটা
লিমিটের মধ্যে থেকেই করতে হয়
যেখানে অ্যান্ড্রয়েডে আপনি
প্রায় প্রয়োজনীয় সব কিছুই নিজের
মত করে সাজিয়ে নিতে পারছেন।
অনেকটা নিজে বাড়ি করা আর
রেডিমেড ফ্ল্যাট কেনার মত একটা
বিষয়।
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের
সংখ্যায় অনেক বেশি
অ্যাপলের ডিভাইসের তুলনায়
অ্যান্ড্রয়েডের ডিভাইসের
সংখ্যা ঢের বেশি। আপনি
অ্যাপলের ডিভাইস ব্যবহার করতে
চাইলে সামনে পাবেন হাতেগোনা
কয়েকটি ডিভাইস মাত্র যেখানে
আপনি অ্যান্ড্রয়েডে পাবেন
অগনিত। অ্যান্ড্রয়েডের এই বিশাল
কালেকশন থেকে আপনি খুব সহজেই
বেছে নিতে পারবেন আপনার
পছন্দের ডিভাইসটি। আকার, রঙ,
ক্যামেরা, স্ক্রিন - ইত্যাদিরও
পাবেন হাজারটা অপশন। এদিক থেকে,
অ্যান্ড্রয়েডের স্মার্টফোনও
এগিয়ে আছে অনেক দূর। তাই আমার
মনে হয়, অ্যাপলের স্বল্প কিছু
মডেল থেকে পছন্দ না করে সেই
বাজেটে অ্যান্ড্রয়েড কিনতে
মনস্থির করুন! আর দেখুন আপনার
সামনে কত শত স্মার্টফোনের
ছড়াছড়ি।
যেকোন আকারের ডিসপ্লের
স্মার্টফোন
আপনি যদি একজন আইফোন
ব্যবহারকারি হন তাহলে নিশ্চয়ই
জানেন যে আইফোনের
স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে আপনাকে
বেছে নিতে হবে ৪.৭ ইঞ্চি
আকারের ডিসপ্লে অথবা ৫.৫ ইঞ্চি
আকারের ডিসপ্লে সমৃদ্ধ কোন
একটি মডেলকে। কিন্তু অন্যদিকে
যখনই আপনি অ্যান্ড্রয়েডের কথা
ভাববেন তখন আপনার সামনে খুলে
যাবে অসংখ্য অ্যান্ড্রয়েড
স্মার্টফোনের অপশন যেখানে
থেকে বলতে গেলে আপনি প্রায়
যেকোন আকার এবং আয়তনের ডিভাইস
খুঁজে পাবেন। ৪ ইঞ্চি
স্ক্রিনের কম থেকে শুরু করে সনি
এক্সপেরিয়া জেড আল্ট্রা বা
হুয়াওয়ে অ্যাসেন্ড মেট ৭ এরমত
বিশাল স্মার্টফোন - কী নেই আসলে
অ্যান্ড্রয়েডের এই তালিকায়?
গুগলের সেবা
গুগলের সেবা সম্পর্কে নিশ্চয়ই
আপনার জ্ঞান কিছুটা হলেও আছে।
বর্তমানে প্রযুক্তির এই যুগে যখন
আমরা সব কিছুই অর্গানাইজ করে
চলতে চাই তখন গুগল আমাদের যে ঠিক
কতটা সাহায্য করে থাকে তা কম
বেশি সবাই আমরা জানি, তাইনা?
কন্টাক্ট, ক্যালেন্ডার, ই-মেইল,
গুগল ড্রাইভ, ব্রাউজার, গুগল ডকস,
গুগল প্লাস - এইসব চমৎকার
সুবিধাগুলো যেগুলো আমাদের
জীবনটা ক্রমেই সহজ করে দিচ্ছে
সেগুলোর সর্বোচ্চ সাপোর্ট
পেতে চাইলে অর্থাৎ, গুগলের
সেবাগুলো সেরা ভাবে উপভোগ
করতে চাইলে অবশ্যই আপনার
প্রয়োজন একটি অ্যান্ড্রয়েড
ডিভাইসের।
অ্যাপলিকেশন
আগেও বলেছি, আবারও বলছি।
অ্যান্ড্রয়েডের প্লে স্টোরে
রয়েছে অ্যাপলের প্লে স্টোরের
তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি
অ্যাপলিকেশন। প্রায় যেকোন
ক্যাটাগরির অ্যাপলিকেশনের
খুঁজলে প্রায় শতাধিক রকমফের
পাওয়া যাবে অ্যান্ড্রয়েডের
জন্য। শুধু তাই নয়, প্রতিনিয়ত এই
হিউজ অ্যাপলিকেশন লিস্টে যোগ
হচ্ছে অনেক নতুন নতুন
অ্যাপলিকেশন যা ক্রমেই
অ্যান্ড্রয়েড
এক্সপেরিয়েন্সকে করছে আরও
স্মুথার, আরও সহজ। তাই, আপনি যদি
হয়ে থাকেন একজন অ্যাপ ফ্রিক তবে
জেনে রাখুন, অ্যান্ড্রয়েড
অ্যাপলিকেশনের দিক দিয়ে এগিয়ে
রয়েছে যোজন যোজন দূরে।
কাস্টোম রম
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের এটি
একটি বড় সুবিধা। আপনি আপনার
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে
চাইলে ব্যবহার করতে পারবেন
বিভিন্ন রকমের কাস্টম রম যা আপনার
স্মার্টফোনের সর্বোচ্চ
ক্যাপাবিলিটি এক্সপেরিয়েন্স
করতে আপনাকে সাহায্য করবে। ধরুন,
আপনার স্মার্টফোনের মূল
সিস্টেমটা আপনার কাছে ল্যাগি
মনে হচ্ছে বা কোন কারণবসত ভালো
লাগছে না, আপনি চাইলেই তা বদলে
নতুন একটি কাস্টোম রম ফ্ল্যাশ
করতে পারবেন। কাস্টম রম
ফ্ল্যাশের মাধ্যমে বেশির ভাগ
সময়েই স্মার্টফোনের পারফর্মেন্স
বৃদ্ধিপায় এবং কিছু কিছু
সুবিধা যোগ হয়, যেমন - ক্যামেরার
রেজ্যুলেশন বেশি, ওটিজি আনলক
হওয়া এবং ইত্যাদি।
শেষকথাঃ
যত কথাই লিখি না কেন এই
অ্যান্ড্রয়েড আর অ্যাপলের যুদ্ধ
চলবেই, তবে আমি জানি বুদ্ধিমান
ব্যবহারকারিরা সহজেই তাদের
প্রয়োজন বুঝতে পারে এবং সে
অনুসারে ডিভাইস কিনে থাকে। আর
যারা কিছুটা কনফিউসড থাকেন
তাদের জন্যতো থাকলোই এই

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন