শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৫

তিন বছরের মেয়েরা ধর্ষণ হয় কেনো??? তারাও কি পর্দা না করার কারণে ধর্ষণ হয়??? উপরের প্রশ্ন গুলা করে থাকে কথিত আধুনিক মেয়ে ও কিছু প্রগতিশীল ছেলেরা। এটাও একটা সুশীলীয় প্রশ্ন বটে। উত্তর টা দিয়েই দিই। ছোট্ট একটা গল্প বলি। করিম সাহেব। এলাকার বিত্তশালীদের একজন। তার টাকা পয়সার অভাব নাই। এলাকাতেও অনেক দাপট। তার মেয়ে মিতা। এ যোগের মেয়ে। ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। চলা ফেরাও করে নিজের ইচ্ছা মত। টাইট ফিটিং কাপড় পড়ে। তার প্রিয় পোষাক টিশার্ট, জিন্স, টপস। আবার বিভিন্ন অনুষ্টানে সেভ লেস পাতলা ব্লাউজের সাথে নাভীর নিচে শাড়ী পড়তে ভিষণ পছন্দ করে। যেকোন অকশনে নিজেকে আলাদা ভাবে উপস্থাপন করার মজায় আলাদা। সবাই দেখে বাহবা দিতে হবে। মানুষ তার দিকে এক পলকে চেয়ে থাকতে হবে। তাই নিজেকে সবার থেকে আলাদা ভাবেই উপস্থাপন করে মিতা। এদিকে মিতার এমন চাল চলনে মাথা খারাপ এলাকার বখাটে ছেলেদের। তারা প্রতিদিন মিতাকে দেখে বিভিন্ন কিস্তি খেউর কাটে। অবশ্য সামনাসামনি কিছু বলতে পারে না। কেনো না মিতার বাবা অনেক প্রভাবশালী। কিন্তু মিতার চাল চলন তাদের আরো হিংস্র করে তোলে দিন দিন। যতই দিন যায় তাদের লালসা বাড়তে থাকে। কিন্তু মিতার দিকে সামনাসামনি থাকালেও খবর আছে এদের। তাই মিতাকে কিছু করতেও পারে না। আবার নিজেদের কন্ট্রোল ও করতে পারে না। এলাকার আরেক বাসিন্দা রহিম উদ্দিন। দিন মজুরের কাজ করে কোনভাবে সংসার চালায়। রহিম উদ্দিনের ছোট একটা মেয়ে আছে। বয়স ৪ বছর কি একটু বেশি হবে। ছোট একটা ঝোপড়িতে বউ মেয়েকে নিয়ে বসবাস রহিম উদ্দিনের। পরীর মত দেখতে ছোট্ট মেয়েটার নাম ও রাখছে পরী। রহিম উদ্দিনের বাড়ীর কাছে আবার বখাটের আড্ডাখানা। তারা সারাদিন সেখানে আড্ডা দেয়, নেশা করে। পরী সারাদিন বাড়ীর আশে পাশে খেলা করে। একদিন হঠাৎ করে রহিমের মেয়ে পরীকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই সকালে খেলা করতে বের হয়ে পরী আর ঘরে আসেনি। রহিমের বউ আর রহিম পুরা এলাকা তন্নতন্ন করে খুঁজেও মেয়েকে পাইনি। সন্ধ্যার দিকে খবর আসলো কামাল সাহেবের পরিত্যক্ত বাড়ীটে রহিমের মেয়ে পরী কে পাওয়া গেছে। কিন্তু পরী আর বেচে নেই। সকালে যখন পরী খেলা করতে বের হয় তখন এলাকার বখাটেরা তাকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে নিয়ে যায় কামাল সাহেবের পরিত্যক্ত সেই বাড়ীতে। করিম সাহেবের মেয়ে মিতা উগ্র ও অর্ধউলঙ্গ চলা ফেরা করে হিংস্র করে তোলা বখাটেরা তাদের লালসা মিটায় ছোট্ট পরীকে ধর্ষণ করার মাধ্যমে। পালাক্রমে ধর্ষণের ফলে মারা যায় ছোট্ট পরী। করিম সাহেব প্রভাবশালী (মিতার বাবার আছে দাপট, মিতার আছে পেশীশক্তি। সেই কারনে মিতাকে ধর্ষণ করা খুব সহজ ছিলো না) হওয়ার কারনে তার মেয়ে উগ্র চলা ফেরা করলেও তাকে ধর্ষণ করার সাহস হয়নি বখাটেরা। কিন্তু তাকে দেখে দেখে দিন দিন হিংস্র থেকে হিংস্র হয়ে উঠে বখাটেরা। দিন দিন বাড়তে থাকে তাদের লালসা। তাদের সেই লালসা মিটায় রহিমের ছোট্ট মেয়ে পরীকে ধর্ষণ করে। কারণ রহিম উদ্দিন দিন মজুর ( রহিমের নাই কোন প্রভাব, আবার পরীর নাই কোন পেশীশক্তি। ছোট্ট একটা মেয়ে। পেশীশক্তি থাকার প্রশ্নই আসে না। তাই পরীকে ধর্ষণ করা ছিলো একদম সহজ)। গল্পটা এখানেই শেষ। গল্পের মূল কথা গুলা যেকোন বিবেকবান মানুষেরা এর মধ্যে বুঝে গেছেন। পরী ধর্ষণ হওয়ার পিছনে কে দায়ী??? পরী পর্দা করেনি সেটা নাকি মিতার উগ্র চলাফেরা??? বখাটেদের দিন দিন হিংস্র করে তোলার পিছে দায়ী কে??? ছোট্ট পরী নাকি মিতার অর্ধউলঙ্গ চলা ফেরা??? এরপরেও সেই পতিতারা এই কথা গুলা মানবে না। কেনোনা তারা চাই তাদের দেখে মানুষ নিজেদের কামনা মিটাক। তারা চাই তাদের দেখে মানুষ তাদের প্রতি আকৃষ্ট হোক। তারা চাই মানুষ তাদের দেখে বিভিন্ন মন্তব্য করুক। তারা নিজেরা লাঞ্চিত হবে। তাদের জন্য ছোট্ট পরীরা ধর্ষণ হবে। তারপরেও তারা নিজেদের চেঞ্জ করবে না। পর্দা করবে না। অর্ধউলঙ্গ হয়ে চলা ফেরা করবে। কারন তারা চাই ই তাদের দেখে পুরুষরা লালা ফেলুক। যদিও ভালো কোন ছেলে এইসব মেয়েদের দিকে থাকানো দূরে থাক। এদের উপর থুথু ও পেলেনা। সেইসব আধুনিক (!) মেয়েদের বলছি। ফিরে আসুন ইসলামের পথে। পালন করুন ফরজ বিধান পর্দা। আপনারা পর্দা করলে মানুষ আপনাদের দিকে থাকাবে না। আপনাদের কামনার দৃষ্টিতে নয় সম্মানের চোখে দেখবে। একবার চেঞ্জ হয়ে দেখুন। তারপরের ফলাফল নিজের চোখে দেখতে পাবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন