সোমবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৫

অ্যাডাল্ট ওয়েবসাইট এবং কনটেন্ট ব্লক করুন (মেগা টিউন)

বর্তমান যুগ ইন্টারনেট ছাড়া প্রায়
অচল, না আসলে “প্রায়” না
পুরোটাই অচল। কি নেই এতে? এর
মাধ্যমে মানুষ যেমন অফুরন্ত জিনিস
সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারছে
তেমন, এটি মানুষকে ক্ষতিও করতে
পারে ভয়ঙ্করভাবে। আর এই
ইন্টারনেট এর ক্ষতিকর দিক গুলোর
মধ্যে অন্যতম একটা বিষয় হচ্ছে
প্রাপ্তবয়স্ক/পর্ণোগ্রাফিক
ওয়েবসাইট এর জগত। আপনি যদি
বাবা/মা হয়ে থাকেন তাহলে
নিশ্চয়ই আপনি চাইবেন না
ইন্টারনেট এর মাধ্যমে আপনার
উঠতি বয়সের ছেলে/মেয়ে গুলো
এই পর্ণোগ্রাফিক জগতের মধ্যে
প্রবেশ করুক।
আর তাই আপনাকে সাহায্য করার
জন্যই আজকের এই লেখা।
প্রাপ্তবয়স্ক ওয়েবসাইট গুলো
যেকোন কম্পিউটারে খুব সহজেই
বন্ধ করে রাখা সম্ভব, শুধু তাই নয়
ব্রাউজারের মাধ্যমেও যে কোন
ওয়েবসাইটের প্রাপ্তবয়স্ক জিনিস
গুলো নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব, এছাড়াও
ওয়েব সার্চের মাধ্যমেও আপনি
নির্ধারন করে দিতে পারেন সার্চ
করা হলে কি কি কনটেন্ট
দেখানো যাবে না। বলতে
গেলে মোট ৭টি পদ্ধতি আছে যার
মাধ্যমে আপনি এই কাজ গুলো
করতে পারেন।
১. উইন্ডোজ ৮ এর মাধ্যমে
২. ম্যাক ওএস এর মাধ্যমে
৩. ব্রাউজার এক্সটেনশন/
অ্যাডওয়ান্স এর মাধ্যমে
৪. গুগল এর সেফ সার্চ এর মাধ্যমে
৫. ইয়াহু এর সেফ সার্চ এর মাধ্যমে
৬. বিং এর সেফ সার্চ এর মাধ্যমে।
# পদ্ধতি ১: উইন্ডোজ ৮ এর
মাধ্যমেঃ
১. প্রথমেই আপনার উইন্ডোজ ৮
কম্পিউটারটিতে এডমিনিস্ট্রেটর
হিসেবে লগ ইন করুন
২. কন্ট্রোল প্যানেলে নেভিগেট
করুন এবং “Network and Internet”
লিখাটির উপর ক্লিক করুন।
৩. “Internet options” লিখাটির উপর
ক্লিক করুন। ইন্টারনেট প্রোপার্টি
স্ক্রিন ভেসে উঠবে।
৪. “Content” ট্যাবটিতে ক্লিক করুন।
৫. “Family Safety” নামের বাটনটিতে
ক্লিক করুন।
৬. এবারে যেই ইউজার আকাউন্টের
জন্য আপনি এডাল্ট সাইট গুলো বন্ধ
করতে চান ওই ইউজার
একাউন্টটিতে ক্লিক করুন।
৭. “Family Safety” অপশনটি ‘অন’ করে
দিন।
৮. “Web filtering” এর উপর ক্লিক করুন।
৯. “can only use the websites I allow” এই
অপশনটা নির্ধারন করে দিন।
১০. অপশন গুলোর মধ্য থেকে
রেস্ট্রিকশন লেভেলটি নির্ধারন
করে দিন। যেমন টি অপশন গুলোর
বর্ননায় লিখা আছেঃ অধিকাংশ
অপশন গুলোই ডিফল্ট ভাবে এডাল্ট
সাইট গুলো ব্লোক করে রাখবে।
উদাহরন সরুপঃ আপনি যদি কোন
নির্দিষ্ট ব্যাবহার কারীকে
নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইট (যা শুধু
মাত্র বাচ্চাদের জন্য অনুমতি
প্রাপ্ত) ব্যবহার করার অনুমতি
দিতে চান তাহলে “Designed for
children” অপশনটি সিলেক্ট করে দিন।
১১. ইন্টারনেট অপশন উইন্ডোটি বন্ধ
করে দিন। এখন থেকে নির্দিষ্ট ওই
ব্যাবহারকারীর জন্য প্রাপ্তবয়স্ক
ওয়েবসাইট গুলো ব্লোক হতে
থাকবে।
# পদ্ধতি ২: ম্যাক ওএস এর মাধ্যমেঃ
১. প্রথমেই অ্যাপল মেনু থেকে
“System Preferences” সিলেক্ট করুন।
২. এরপর “Parental Controls” এ ক্লিক
করুন।
৩. এবারে যেই ইউজার আকাউন্টের
জন্য আপনি এডাল্ট সাইট গুলো বন্ধ
করতে চান ওই ইউজার
একাউন্টটিতে ক্লিক করুন।
৪. “Enable Parental Controls” এ ক্লিক
করুন।
৫. “Content” লিখা ট্যাবটিতে
ক্লিক করুন।
৬. “Website Restrictions” থেকে পছন্দ সই
অপশন সিলেক্ট করুন। যদি আপনি চান
কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয় ভাবে
এডাল্ট ওয়েবসাইট গুলো ফিল্টার
করে দিবে তাহলে “Try to limit
access to adult websites
automatically” (automatic)” অপশনটটি
সিলেক্ট করে দিন। এটা সিলেক্ট
করার মাধ্যমে ইন্টারনেট সার্চও
ফিল্টার হয়ে যাবে।
৭. উইন্ডোটি বন্ধ করে দিন এবং এখন
থেকে এই নির্দিষ্ট
অ্যাকাউন্টটিতে এডাল্ট কনটেন্ট
গুলো আর দেখা যাবে না।
# পদ্ধতি ৩: ব্রাউজার এক্সটেনশন/
অ্যাডওয়ান্স এর মাধ্যমেঃ
১. ওয়েব ব্রাউজের জন্য আপনার
রেগুলার ব্রাউজারটি চালু করুন।
২. এখান থেকে extensions or add-ons
মেনুতে নেভিগেট করুন। যেমন
আপনি যদি গুগল ক্রম ব্যবহারকারী হন
তাহলে ক্রম এর মেনু বাটনে ক্লিক
করুন এবং “More Tools” থেকে
“extensions” লিখাটিতে ক্লিক করুন।
আর যদি ফায়াফক্স ব্যবহারকারী হন
তাহলে নেভিগেট করুন “Tools” ►
“Add-ons” এ।
৩. ফায়ারফক্স এর ক্ষেত্রে browse, or
get more extensions এবং ক্রম এর
ক্ষেত্রে extensions পেজ এর নিচের
দিকে Get more extensions
লিখাটিতে ক্লিক করুন। এখন একটি
সার্চ উইন্ডো ওপেন হবে যেখানে
আপনি সার্চ করতে পারবেন।
৪. এবার এডাল্ট সাইট বন্ধ করার জন্য
এক্সটেনশন সার্চ করার জন্য টাইপ
করুন “parental controls” or “block adult
sites”
৫. ব্রাউজ করতে থাকুন জতক্ষন না
আপনি আপনার জন্য সঠিক
এক্সটেনশনটি না পেয়ে যান। এ
ধরনের কিছু এক্সটেনশনের উদাহরন
হল WebFilter Pro and Website Blocker
৬. এক্সটেনশনটি পেয়ে গেলে
ডাউনলোড এবং অ্যাড করে ফেলুন।
এক্সটেনশনের উপর ভিত্তি করে
এডাল্ট কনটেন্ট ব্লোক করার জন্য
আপনাকে হয়ত কিছু অপশন মডিফাই
করতে হতে পারে।
# পদ্ধতি ৪: গুগল এর সেফ সার্চ এর
মাধ্যমেঃ
১. এটা চালু করার জন্যে প্রথমে
যেটা করতে হবে তা হল এই
ঠীকানায় নেভিগেট করতে
হবেঃ http://www.google.com/
preferences
২. “Filter explicit results” এর উপর
চেকমার্কটি বসিয়ে দিতে হবে।
৩. নিচের দিকে স্ক্রল করে “Save”
লিখা বাটনটিতে ক্লিক করতে
হবে। সেভ করা হয়ে গেলে গুগল
এডাল্ট কনটেন্ট গুলো আর দেখাবে
না। কিন্তু মনে রাখতে হবে যদি
আপনি আপনার ব্রাউজার এর কুকি
গুলো ডিলিট করে দেন তাহলে
পুনঃরায় আপনাকে প্রোসেস গুলো
ধাপে ধাপে করতে হবে।
# পদ্ধতি ৫: ইয়াহু এর সেফ সার্চ এর
মাধ্যমেঃ
১. প্রথমেই https://www.yahoo.com/ এই
ঠীকানায় নেভিগেট করুন এবং
আপানার ইয়াহু একাউন্টটিতে লগ
ইন করুন।
২. যে কোন কিছু লিখে সার্চ করুন।
৩. এখন উপরের দান দিকের কর্নারে
থাকা গিয়ার আইকন টিতে ক্লিক
করুন এবং “Preferences” লিখাটি
সিলেক্ট করুন।
৪. সেফসার্চ ড্রপডাউন মেনু থেকে
“Strict” সিলেক্ট করে দিন।
৫. নিচের দিকে স্ক্রল করে বর্তমান
সেটিংস গুলো সেভ করে দিন
এবং উইন্ডোটি থেকে বের হয়ে
আসুন। এখন থেকে ইয়াহু তে লগ ইন
থাকা অবস্থায় সার্চ করলে এডাল্ট
কনটেন্ট গুলো আর দেখাবে না।
# পদ্ধতি ৬: বিং এর সেফ সার্চ এর
মাধ্যমেঃ
১. বিং এর ওয়েবসাইটে
নেভিগেট করুন http://www.bing.com/
২. উপরের ডান দিকের কর্নারে
থাকা গিয়ার আইকনটিতে ক্লিক
করুন।
৩. সেফসার্চ সেশনের মধ্যে থাকা
“Strict” অপশনটি সিলেক্ট করে দিন।
৪. নিচের দিকে স্ক্রল করে বর্তমান
সেটিংস গুলো সেভ করে দিন
এবং উইন্ডোটি থেকে বের হয়ে
আসুন। এখন থেকে বিং এ সার্চ
করলে এডাল্ট কনটেন্ট গুলো আর
দেখা যাবে না। কিন্তু মনে
রাখতে হবে যদি আপনি আপনার
ব্রাউজার এর কুকি গুলো ডিলিট
করে দেন তাহলে পুনঃরায়
আপনাকে প্রোসেস গুলো ধাপে
ধাপে করতে হবে।
সতর্কতাঃ এখানে দেখানো
পদ্ধতি গুলো সব সময় সব কনটেন্ট
ব্লোক করতে নাও পারে, তাই
কোন কিছু ব্রাউজ করার পূর্বে
সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন