বাজারে কম দামী স্মার্টফোনের
অভাব নেই। কিন্তু কম দামী
স্মার্টফোন কিনে অনেক সময়ই
প্রত্যাশানুযায়ী সুবিধা না
পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়
ব্যবহারকারীকে। কম দামে
স্মার্টফোন কেনার আগে কিছু
বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।
সম্প্রতি এ বিষয়ে প্রতিবেদন
প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
* অনেকে স্মার্টফোন কিনতে
গিয়ে ভাবেন, দামি
স্মার্টফোনের থেকে সস্তার
স্মার্টফোনের প্রযুক্তিগত হেরফের
খুব একটা হবে না। এই আশা প্রথমেই
ত্যাগ করতে হবে। কিছু নামকরা
ব্র্যান্ডের কমদামী
স্মার্টফোনগুলোতে মানসম্পন্ন
প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলেও,
বাজারের অনেক ব্র্যান্ডের
স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেই তা
পাওয়া যায় না। কম দামে
স্মার্টফোন মানেই দামের সঙ্গে
প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও আপোষ করতে
হবে। সাধারণত এই পার্থক্যটা
চোখে পড়ে স্ক্রিন রেজ্যুলেশন,
প্রসেসর টাইপ ও স্পিড, র্যাম,
ক্যামেরার গুণগত মান এবং
ব্যাটারি ব্যাকআপে।
* কম দামের স্মার্টফোনে
প্রয়োজনীয় বেশ কিছু ফিচারের
কথা বলা হলেও, ব্যবহারের পর
বোঝা যায় আদতে সঠিক
ফিচারটি নেই। যেমন যদি লেখা
থাকে ৪ জিবি ইন্টারনাল
স্টোরেজ তাহলে বুঝতে হবে ২
জিবির বেশি ব্যবহার করতে
পারবেন না। এ ছাড়া স্ক্রিনের
রেজ্যুলেশন কম থাকে। ওয়াই-ফাই ও
ব্লুটুথের নতুন ভারসন পাওয়া যায়
না। তাই কম দামে স্মার্টফোন
কেনার সময় ফিচারগুলো ভালো
করে দেখে নেওয়া উচিত।
* কম দামের স্মার্টফোনের
আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় হলো,
হার্ডওয়্যার। এসব স্মার্টফোনে
প্রাথমিক লেভেলের হার্ডওয়্যার
ব্যবহার করা হয়। তাই প্রথমেই
খতিয়ে দেখে নিন, প্রসেসর, র্যাম
ও এক্সপ্যান্ডেবল মেমোরি। এ
ছাড়াও ডিসপ্লে সাইজ,
রেজ্যুলেশন, কনেক্টিভিট অপশন,
ব্যাটারির ক্ষমতা সম্পর্কে অবহিত
হওয়া উচিত। কেনার আগে
দোকানেই সংশ্লিষ্ট ফোনের
ডেমো ব্যবহার করে দেখে নেওয়া
উচিত।
* বাজারে কম দামের ফোনের
মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড চালিত
বিভিন্ন ফোন, উইন্ডোজ ফোন ও
পুরোনো মডেলের ব্ল্যাকবেরি
ফোন পাওয়া যাচ্ছে। কম দামি
স্মার্টফোন কেনার সিদ্ধান্ত
নেওয়ার আগে অপারেটিং
সিস্টেম ভালো করে চেক করে
নেওয়া উচিত। নিশ্চয়ই চাইবেন
না, অ্যান্ড্রয়েড বা উইন্ডোজের
পুরোনো ভারসন ব্যবহার করতে। মনে
রাখতে হবে, বিভিন্ন
অপারেটিং সিস্টেমের
হার্ডওয়্যার ভিন্ন। যেমন
উইন্ডোজের সাম্প্রতিকতম
ভারসনের (উইন্ডোজ ৮ বা তার
ওপরে) জন্য র্যাম ও প্রসেসর স্পিড কম
দরকার, আগের ভারসনের তুলনায়।
একই সঙ্গে কম দামের স্মার্টফোনে
কিছু প্রি-ইনস্টল অ্যাপ বা থার্ড
পার্টি অ্যাপ থাকে। ওই
অ্যাপগুলো অযথা জায়গা দখল করে
থাকে। আন-ইনস্টল করলেই ফোনের
ওপর প্রভাব পড়ে। তাই এই বিষয়টা
কেনার আগেই খতিয়ে দেখে
নেওয়া উচিত।
* বেশির ভাগ স্মার্টফোনেরই
ওয়ারেন্টি মেয়াদ এক বছরের হয়।
তবে কাছাকাছি কোনো
সার্ভিস সেন্টার না থাকলে,
ওয়ারেন্টি নিয়ে ভোগান্তিতে
পড়তে হবে। তাই কোনো
কোম্পানির স্মার্টফোন কেনার
আগে অবশ্যই আপনার বাড়ির কাছে
সেই সংস্থার সার্ভিস সেন্টার
আছে কিনা, খোঁজ নিন।
প্রজুক্তি ও নতুন বাংলাকে জানতে "টাইমস নিউজ বিডি" এর সাথেই থাকুন।
রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৫
কম দামের স্মার্টফোনের কেনার আগে অবশ্যই খেয়াল করুন
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন