মানুষের
শরীরে জন্মদাগ থাকে সেটি আমরা
জানি। এইসব জন্মদাগ পাসপোর্টে
বিশেষ চিহ্ন হিসেবে ব্যবহারও করা
হয়ে থাকে। এক ব্যতিক্রমি জন্মদাগের
কথা শোনা গেলো। বিশ্বমানচিত্রের
ছবি জন্মদাগ হিসেবে দেখা গেছে
এক মানব শরীরে!
কখন কোথায় কি লুকিয়ে থাকে তা
বোঝা মুশকিল। আর মানুষের গায়ে
উল্কি আাঁকা বা এ ধরনের কতো কিছুর
মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে শিল্পকর্ম।
সাধারণতভাবে জন্মদাগ শরীরের খুঁত
হিসেবেই ধরে নেন সবাই। যাদের
শরীরে জন্মদাগ রয়েছে, তারা অনেক
সময় সেই দাগ আড়াল করার চেষ্টা
করেন। অবশ্য সেই দাগ যদি বড় বা বিভৎস
হয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা
যায় খুব ছোট একটি দাগ থাকে জন্মদাগ।
আর সেটি পাসপোর্টে বিশেষ চিহ্ন
বা শরাক্তকরণ চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার
করা হয়। তবে জ্যাকব নামে এক ব্যক্তির
ঘটেছে বড়ই ব্যতিক্রমি ঘটনা। জ্যাকব
নিজের জন্মদাগের মাঝেই খুঁজে
নিয়েছেন পুরো বিশ্বকে।
নিউইয়র্কবাসী কলেজ ছাত্র জ্যাকব
তার নিজের শরীরের অংশ জুড়ে
ছড়িয়ে থাকা জন্মদাগকে আড়াল না
করে সেটাকেই এক স্বপ্নের পৃথিবী
হিসেবে গড়ে তুলেছেন।
জানা যায়, জন্ম হতেই জ্যাকবের ডান
হাত ও বাহুজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে এক
বিশাল দাগ। যা দেখতে একেবারে
মানচিত্রের মতোই। রক্তবর্ণ এই দাগের
চারপাশে কালো বর্ডার এঁকে
দেওয়ার পর তা দেখতে সত্যিই
মানচিত্রের মতোই হয়েছে। স্থল ও
জলভাগ ছাড়াও জ্যাকবের এই
মানচিত্রে রয়েছে ছোট ছোট দ্বীপ।
গত সপ্তাহে জ্যাকব সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের হাতের
জন্মদাগে তৈরি মানচিত্রের ছবি
আপলোড করেছেন। তাতে ক্যাপশন
দিয়েছেন- ‘বার্থম্যাপ’।
প্রজুক্তি ও নতুন বাংলাকে জানতে "টাইমস নিউজ বিডি" এর সাথেই থাকুন।
বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৫
বিশ্ব মানচিত্রের ছবি জন্মদাগ হিসেবে শরীরে!
নকিয়া মোবাইলের মজাদার ম্যাজিক কোড
আজকে আপনাদের সামনে নিয়ে
আসলাম মজার কিছু মোবাইল ম্যাজিক
কোড, যেগুলো প্রযোজ্য হবে নিচে
প্রদত্ত মোবাইল গুলোর জন্য-
*. নোকিয়া ১৬০০ ( Nokia 1600 )
*. নোকিয়া ২৬০০ ( Nokia 2600 )
*. নোকিয়া ২৩১০ ( Nokia 2310 )
হ্যাঁ, এখন থেকে আপনি যেকোনো Nokia
1600, Nokia 2600, ও Nokia 2310 মোবাইলের
স্কিন/ডিসপ্লে (rotate) উল্টিয়ে
কিংবা ঘুরিয়ে দিতে পারবেন, আর
চমকিয়ে দিতে পারেন সবাইকে।
বিশ্বাস হয় না, তাহলে করেই দেখুন।
HERE ARE SOME CODES TO ROTATE SCREEN :
*#5512#
*#5513#
*#5514#
NORMAL MODE:
*#5511#
আশা করি এগুলো ব্যবহার করে সবাইকে
দারুনভাবে চমকায় দিতে পারবেন।
তবে সবার কাছে ১টা অনুরোধ থাকবে,
দয়া করে কেউ এই কোড গুলোর
অপব্যাবহার করবেন না, মানে অন্য
কারো মোবাইলে গোপনে এসব কোড
ব্যবহার করে কারো ক্ষতি সাধন করবেন
না।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে
আমার টিউনটি শেষ করছি ।।
ভাল থাকবেন,
দেশকে ভালবাসবেন,
আর দেশের জন্য প্রতিদিন অন্তত একটি
করে কাজ করবেন ।।
ইন্টারনেট ব্যবহার করে পৃথিবীর যে কোন মোবাইলে SMS করুন সম্পূর্ণ ফ্রিতে
আজ আপনাদের জন্য আরেকটি ফ্রি
এসএমএস এর সাইট নিয়ে এসেছি।
ইন্টারনেটে এরকম ভুরি ভুরি ওয়েব সাইট
পাবেন। আজ আপনাদের সাথে এরকমই
একটি সাইট নিয়ে আলোচনা করব। এখান
থেকে আপনি পৃথিবীর যে কোন
দেশের যে কোন মোবাইল ফোনে
এসএমএস করতে পারবেন এবং তা সম্পূর্ণ
ফ্রিতে। তাহলে আসুন জেনে নিই
কিভাবে পাঠাবেন ফ্রি এসএমএস-
প্রথমে
http://uthsms.net/?on=sms
চলে যান। এবার আপনি যে দেশে
এসএমএস করবেন সে দেশের নাম টি
আগে ঠিক করুন। এবার number আর
জায়গায় (০ বাদে ১৭….) আপনার
কাঙ্খিত number বসিয়ে এসএমএস লিখুন।
SEND SMS এ ক্লিক করুন। (যদি কোন
ক্যাপচা আসে তাহলে তা পূরণ করে
SEND SMS এ ক্লিক করুন।)
মোবাইল অপারেটরের কোন প্যাকেজটি ব্যবহার করছেন??? জানেন না??তাহলে এক্ষুনি জেনে নিন
আসসালামুয়ালাইকুম
ওয়ারাহমাতুল্লাহিওয়াবারাকাতুহু।
সবাই ভাল আছেন।
আশা তো করি আল্লাহর রহমতে খুব ভালই
আছেন। ভালো থাকেন এই কামনাই
করি।
আমি নতুন টিজে হিসেবে পোস্ট এ
আমার কোন ভুল দৃষ্টি গোচর হলে ক্ষমা
করবেন।
আসা করছি সবার কাজে আসতে
পারবে আমার এই পোস্ট
আমাদের কমবেশি প্রায় সবারই একের
অধিকসিম রয়েছে। কিন্তু যখন নম্বরটি
ভুলে যাইতখন পড়ি বিড়ম্বনায়। এখন
থেকে আশা করি আরভুলবেন না।
১। জিপি: – *২#
২। রবি: – *১৪০*২*৪#
৩। বাংলালিংক: – *৫১১#
৪। এয়ারটেল: – *১২১*৬*৩#
5. টেলিটক: – টাইপ করুন tar ও পাঠিয়ে
দিন২২২ নম্বরে (চার্জ ০.৫৮টাকা)
মোবাইল অপারেটরের কোন
প্যাকেজটি ব্যবহার করছেন??? জানেন
না??তাহলে এক্ষুনি জেনে নিন
১। জিপি: – টাইপ করুন xp ও পাঠিয়ে
দিন৪৪৪৪ নম্বরে
২। রবি: – *১৪০*১৪# (চার্জ ২.৫০টাকা)
৩। বাংলালিংক: – *১২৫#
৪। এয়ারটেল: – *১২১*১*১*১#
৫। টেলিটক: – টাইপ করুন tar ও পাঠিয়ে
দিন ২২২ নম্বরে (চার্জ ০.৫৮টাকা)
যেভাবে মোবাইল থেকে ইউ টিউবের ভিডিও ডাউনলোড করবেন
আমরা জানি যে সাধারনত মোবাইল
থেকে ইউটিউব এর ভিডিও ডাউনলোড
করা যায় না. তাই আমি আমি
আপনাদের সাথে এমন একটি ট্রিক
শেয়ার করবো যার মাধ্যমে আপনারা
খুব সহজেই ইউ টিউব থেকে আপনাদের
পছন্দের ভিডিও টি ডাউনলোড করে
নিতে পারবেন.
প্রথমে এখান থেকে ourTube সফ্টওয়ার
টি ডাউনলোড করে নিন.
সফ্টওয়ার টি জাভা এবং সিম্বিয়ান
সমর্থন যেকোন মোবাইলে ব্যাবহার
করতেপারবেন.
এবার সফ্টওয়ার টি ইন্স্টল করার পর অপেন
করুন.
তারপর YouTube Search বক্সে
আপনাকপছন্দের ভিডিও টির নাম
লিখে সার্চ করুন.
সার্চ করার পর নিচের বক্স Search Result এ
ভিডিও টি পেয়ে যাবেন সেখান
থেকে ভিডিও টির উপর ক্লিক করে
ডাউনলোডে ক্লিক করুন.
ডাউনলোড ক্লিক করার পর Video Format
থেকে, আপনি ভিডিও টি কোন
ফরমাটে ডাউনলোড করতে চান সেটি
নির্বাচন করুন.
ভিডিও ফরমাটে ক্লিক করার সাথে
সাথে ডাউনলোড হওয়া শুরু করবে.
রবির আন্তর্জাতিক এয়ারটাইম রিচার্জ সেবা চাল
মোবাইলফোন অপারেটর রবি আন্তর্জাতিক
রিচার্জ সেবা চালু করেছে। এ সেবা চালু হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া,
মালয়েশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশে বসবাসরত
প্রবাসীরা তাদের প্রিয়জনের জন্য যে কোনো সময় রিচার্জ
করার সুযোগ পাবেন।
বিদেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থ মোবাইলে রিচার্জ করা হবে তা
বাংলাদেশি মুদ্রায় (টাকা) রূপান্তর হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রবি
গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে জমা হবে। টাকা স্থানান্তরের আগে
রিটেইলার রিচার্জকারীকে বাংলাদেশি টাকায় কত টাকা হবে তা
জানিয়ে দেবেন। রিচার্জ করা টাকার পরিমাণ, অর্থ
স্থানান্তরের পর রিচার্জকারীকে যে প্রিন্টেড রসিদ সরবরাহ
করা হবে তাতেও উল্লেখ থাকবে। এসএমএস বা ইউএসএসডি
কোডের মাধ্যমে এক দেশ থেকে আরেক দেশে প্রি-পেইড
মোবাইলে ক্রেডিট ট্রান্সফার করা যাবে।
রিচার্জ সম্পন্ন হওয়ার পর রবি ও ডিজিকনের মাধ্যমে প্রেরক
ও প্রাপক উভয়কেই দ্রুততম সময়ে এসএমএসের মাধ্যমে
জানানো হবে।
মোবাইলে প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে ৪০০ কোটি টাকা
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে,
চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে
গ্রাহকসংখ্যা ২ কোটি ৫২ লাখ ছাড়িয়েছে। গড়ে প্রতিদিন
লেনদেন হচ্ছে ৪০৮ কোটি টাকা। জানা গেছে, কেবল এক স্থান
থেকে টাকা অন্য স্থানে পাঠানোই নয়, দেশের অর্থনীতিতেও
গতি সঞ্চার করেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এই সেবা। যোগ
হয়েছে নতুন কর্মসংস্থান।
এ ছাড়া এই সেবার আওতা সুবিধাও বেড়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে
মোবাইল ব্যাংকিং টাকা আদান-প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ
নেই, বরং অনেক নতুন নতুন সেবা যুক্ত হয়েছে। প্রাত্যহিক
লেনদেন ছাড়াও বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ ইউটিলিটি
বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা
পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স বিতরণ, এটিএম ইত্যাদি সেবা
প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে, যা কয়েক বছর আগেও ছিল
অকল্পনীয়। অথচ সময় যত গড়াচ্ছে, গতানুগতিক ধারার
ব্যাংকিং থেকে বেরিয়ে এখন মোবাইল ব্যাংকিং দেশব্যাপী যে
কোনো সময়, যে কোনো স্থানে আর্থিক সেবার নিশ্চয়তা
মিলছে। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যে সঞ্চয়ের অভ্যাস
গড়ে তুলতেও সাহায্য করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, মার্চ মাসে
মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের
পাঠানো রেমিট্যান্সের ২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা
সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। গ্রাহক নিজের
হিসাবে জমা করেছেন ৫ হাজার ২০৫ কোটি টাকা। আর
উত্তোলন করেছেন ৪ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। এ ছাড়া
অন্যের হিসাবে পাঠিয়েছেন ২ হাজার ২০১ কোটি টাকা। এর
মাধ্যমে বেতন পরিশোধ হয়েছে ৭৪ কোটি টাকা। আর সেবা-
বিল পরিশোধ হয়েছে ১৩২ কোটি এবং অন্যান্য ১৬৭ কোটি
টাকা।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস
চালু হওয়ার ফলে ই-কমার্সসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা বেড়েছে।
অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেমন মোবাইল
ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাদের ব্যবসায়িক লেনদেন সম্পন্ন
করছে, তেমনি অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাদের
সরবরাহকারীদের পাওনা পরিশোধ থেকে শুরু করে কর্মীদের
বেতনও দিচ্ছে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করে।
এদিকে মোবাইল ব্যাংকিং দিয়ে মোবাইল ফোনের এয়ারটাইম
ক্রয়ের পাশাপাশি দোকানে কেনাকাটাসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ
করা যাচ্ছে। এ ছাড়াও ওয়ালেটে (অ্যাকাউন্টে) জমা টাকার
ওপর দেয়া হচ্ছে ইন্টারেস্ট। ফলে গ্রাহকদের মধ্যে ওয়ালেট
ব্যবহারের উৎসাহ বেড়েছে।
সূত্র জানা যায়, ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে
বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পর থেকে প্রতিদিনই বাড়ছে গ্রাহক।
২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের
গ্রাহকসংখ্যা ১ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করে। গত বছরের
মার্চে তা দেড় কোটি ছাড়িয়ে যায়। আর গত সেপ্টেম্বরে ২
কোটি ছাড়ানোর পর ডিসেম্বর মাস শেষে হয় ২ কোটি ৫১
লাখ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, গত মার্চ
শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত মোট গ্রাহক হচ্ছে ২
কোটি ৫২ লাখ ৫২ হাজার। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে মোট
গ্রাহক ছিল ২ কোটি ৫১ লাখ ৮৬ হাজার। এর মধ্যে সচল
আছে ১ কোটি ৮ লাখ ১৪ হাজার।
উল্লেখ্য, কোনো হিসাব থেকে টানা তিন মাস লেনদেন না
হলে তা নিষ্ক্রিয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই বিবেচনায়
মার্চ শেষে মোট হিসাবের অর্ধেকের বেশি বা ১ কোটি ৪৪
লাখ হিসাব নিষ্ক্রিয় রয়েছে। আর মার্চ শেষে সারা দেশে
মোট এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৪৮৫।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, মার্চ মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মোট
৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকার লেনদেনের বিপরীতে ১২ হাজার ২৬৪
কোটি টাকা উত্তোলন ও জমা হয়েছে। এতে প্রতিদিন
লেনদেনের পরিমাণ ৪০৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা যা ফেব্রুয়ারি
মাসে ছিল ৩৬৫ কোটি ২৮ টাকা।
বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৫
পুরাতন মোবাইল সেট কেনার আগে জেনে নিন কিছু টিপস
পুরাতন মোবাইল সেট কেনার আগে যে
বিষয় গুলো খেয়াল রাখা জরুরী! কি
বাজেট কম! তাই পুরাতন মোবাইল এর
বাজারে যাচ্ছেন ? তাহলে হয়ত এই
পোষ্টটি আপনার কাজে লাগতে
পারে বাচাতে পারে কিছু
অসাবধানতা বসত অকেজ মোবাইল
কেনার হাত থেকে রক্ষা পেতে।
সাধ্যের মধ্যে সাধের মিল রাখা
যেমন কষ্টকর ঠিক তেমনি মুল্য ছাড়া
ভাল জিনিস এর স্বাদ পাওয়া অনেকটা
দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো আরকি,
অনেকটা বাধ্য হয়েই পুরাতন জিনিসের
দিকে ঝুকতেই হয়, তাছাড়া মাঝে-
সাঝে কিছু ভাল জিনিষও যে পাওয়া
যায় না তাও নয়, তবে একটু খেয়াল
রাখলেই অকেজ বা নষ্ট জিনিস বুঝতে
পারবেন যা আপনার সাধ্যের বাজেট
কে ঝুকির মুখ থেকে বাচাতে পারে।
কোন ব্রান্ডের মোবাইল কিনছেন ?
হ্যা ব্রান্ড টা খুবই জরুরী! পুরাতন হলেও
চাইনীজ মোবাইল কেনার চাইতে
নোকিয়া মোবাইল কেনাটা অনেক
বেশী আতঙ্কের হাত থেকে বাচাতে
পারে কোন সন্দেহ নাই, তাই যে ব্রান্ড
গুলো ভাল জানেন সেগুলো থেকে
কেনার মনস্থির করুন।
বাজেট টা ঠিক করেছেন তো ?
সেকেন্ড হ্যান্ড বা পুরতন মোবাইল
কিনবেন কিন্ত বাজেট ঠিক করবেন না
তার চাইতে আর একটু বেশি টাকা
লাগিয়ে নতুন মোবাইল কেনার পরামর্শ
আপনার জন্যে থাকবে, বেশির ভাগ
সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল এর দাম
বর্তমান বাজারে নতুন এর অর্ধেক বা এক
তৃতীয়াংশ মুল্য এবং স্মার্ট ফোন গুলোর
মুল্য অর্ধেক এর চেয়ে বেশি হতে
পারে,
পুরাতন মোবাইল কেনার আগে নিজের
বাজেট এর কথা না জানানোওই ভাল,
আগে কত দামে বিক্রেতা বিক্রি
করতে চান তা জেনে নিন।
মোবাইলে কি কি সুবিধা পেতে
চান ?
এটা অবশ্য আপনার বাজেট এর উপর
অনেকটা নির্ভর করবে, স্মার্ট ফোন
গুলো যে সুবিধা দিয়ে থাকে সে
গুলো অবশ্যই সাধারন মানের ফোন
গুলোতে আশা করাটা বোকামী, তাই
কি কি সুবিধা যুক্ত মোবাইল কিনতে
চান সেটি ঠিক করে নিন, যেমনঃ
স্ক্রীন-টাচ, ভাল গেম খেলা, ভাল
মানের ক্যামেরা, ইত্যাদি সুবিধার
সাথে দামটা বাড়া কমা খুবই
স্বাভাবিক।
মোবাইল টি কত আগে কেনা হয়েছিল ?
মোবাইলটি কত দিন আগে কেনা
হয়েছিল তা জেনে নিন, ভাল
বাজেটের হলে কাগজ পত্র চাইতে
পারেন প্রমানের জন্যে, এর মাঝে
ওয়ারেন্টি এর তারিখ উত্তীর্ণ হয়েছে
কিনা যাচাই করে নিন,
মোবাইল এর ব্যাটারী এর কন্ডিশন
জেনে নিন ?
খুবই গুরত্বপুর্ন একটা জিনিস ব্যাটারী,
চার্জ কতক্ষন থাকে বিক্রেতা কে
সরাসরি জিজ্ঞেস করুন, যদি কপাল
খারাপ হয় তাহলে এই জিনিসের জন্যে
পশ্চাতে হতে পারে।
মোবাইলটি কি সার্ভিসিং করা
হয়েছিল ?
হ্যা এটা আরেকটি গুরত্বপুর্ন, যে
মোবাইল সার্ভিসিং করার পর বিক্রি
করা হয় সেগুলোর বেশিভাগই সুবিধার
হয় না, মানে বিক্রেতা নিজেই এটার
উপর বিরক্ত, তাই সার্ভিসিং কৃত
মোবাইল কেনা থাকে দূরে থাকুন।
কথা বলার সময় কি লাইন কেটে যায় ?
বিক্রেতা কে সরাসরি জিজ্ঞেস করুন,
তা না হলে আরেকটি সরম বিরক্তির
কারন হতে পারে কল এর মাঝে কেটে
যাওয়া, একমিনিট পর কল কেটে যাওয়া
আর নতুন প্রেমের ইতি টানা সমান কথা,
এ রকম পরিস্থিতে পড়লে মোবাইল
আছাড় দিতেও দেরী করার কথা না,
তাই এটি নিশ্চিত হন
এরপরও আরো অনেক বিষয় থেকেই যায়,
যা আপনার বাজেট, চাহিদা এর উপর
অনেকটা নির্ভর করবে তাই পুরাতন কোন
মোবাইল কেনার আগে বিক্রাতা এর
সাতে সরাসরি কথা বলে নেওয়া
অনেক ভাল যাতে পরে পশ্চাতাতে
না হয়।
আয়ু বাড়ানোর ২০টি টিপস
কেমন আছেন
সবাই? যা-ই হোক, আজ খুব কমন একটি বিষয়
আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য
বসলাম। আসুন জেনে নিই কীভাবে আমরা
আমাদের মো্বাইল ফোনের ব্যাটারির
আয়ু বাড়াতে পারি। এখানে ২০টি টিপ্স
দেওয়া হলো।১) নতুন মোবাইল কিনে কম
পক্ষে ৮-১০ ঘন্টা চার্জ দিন।
২) খুব বেশী দরকার না হলে ভাইব্রেশন
ব্যবহার করবেন না। ভাইব্রেশনের কারণে
দ্রুত চার্জ ফুরায়।
৩) ব্যাটারীর সম্পূর্ণ চার্জ শেষ হয়ে
গেলে চার্জ দিন।
৪) ফুল চার্জ না হওয়া পর্যন্ত মোবাইল
চার্জ দিন।
৫) মোবাইলের ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন।
৬) অতিরিক্ত চার্জ ব্যাটারীরর জন্য
ক্ষতিকর।
৭) সব সময় সেটের অরিজিনাল চার্জার
ব্যবহার করুন।
৮) খুব বেশী দরকার না হলে ফোন
রির্স্টাট করবেন না।
৯) অকারণে ব্লু-টুথ অন করে রাখবেন না।
১০) নেটওয়ার্ক সিগন্যাল বারবার সার্চ
করলেও বেশি ব্যাটারি ক্ষয়। সুতরাং এটি
থেকে বিরত থাকুন।
১১) ঠাণ্ডা স্থানে মোবাইল ফোন রাখুন।
অর্থাৎ স্বাভাবিক তাপমাত্রায়। বেশি
গরম স্থানে মোবাইল ফোন রাখবে না।
আমি একটা আইপিএস-এর ওপর ব্যাটারি
রেখেছিলাম। পরে আমার ফোনের ১৩টা
বাজছে।
১২) চার্জ থেকে খুলার জন্য আগে সকেট
থেকে চার্জার খুলবেন তারপর
মোবাইলের কেব্ল খুলবেন ।
১৩) চার্জের সময় মোবাইল অফ রাখা ভাল
( বিশেষ করে নতুন মোবাইলের জন্য ) ।
১৪) ব্যাটারির আয়ু ১৫-৩০% থাকলে চার্জ
দিবেন এর আগেও না পরেও না ।
১৫) লম্বা সময় ধরে চার্জার লাগিয়ে
রাখবেন না । আমারা অনেকেই রাতে
ঘুমানোর সময় চার্জে দিয়ে ঘুমাই, এতে
করে ফুল চার্জ হওয়ার পরও অনেক্ষন
চার্জার কানেক্ট থাকে । এ অভ্যাস ত্যাগ
করুন, না হলে ব্যাটারীর ক্ষতি হবে ।
১৬) WiFi, Location Services, Bluetooth,
কানেকশন মোবাইল নেট কানেকশন
থেকে বেশী ব্যাটারি ব্যবহার হয় যদিও
WiFi, Location Services, Bluetooth, কানেকশন
অনেক যায়গায় সহজে ও বিনা পয়সায়
ব্যবহার করা যায়। তাই নেহাত প্রয়োজন
না হলে WiFi, Location Services, Bluetooth,
কানেকশন বন্ধ করে রাখুন তাতে আপনার
ব্যটারির লাইভ সেইভ হবে।
১৭) Wall paper যদি animated বা motion
ওরিয়েন্টেড হয় তাহলে তা ডিজেবল
করে রাখুন।
১৮) বিভিন্ন ব্যাটারি সাপোর্টেড
ইউটিলিটি সফটওয়্যার ফ্রি পাওয়া যায় তা
ব্যবহার করতে পারেন।
১৯) ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক
রিপোর্টে জানা যায়, বিশেষজ্ঞদের
মতে, স্মার্টফোনের ব্যাটারি ১০০%
পর্যন্ত চার্জ করা ঠিক নয়! বরং এর চার্জ সব
সময় ৪০-৫০% এর উপরে রাখার পরামর্শ
দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ, আপনার ফোনের
ব্যাটারির চার্জ সবসময় ৪০-৮০ শতাংশের
মধ্যে রাখলে সেটাই তার
পারফর্মেন্সের জন্য সর্বোত্তম হবে।
এমনকি ওয়্যারলেস চার্জিং এড়িয়ে চলার
পরামর্শও দেয়া আছে এতে।
২০) আর সবার শেষে বলতে চাই, কথা কম
বলুন। এতে টাকাও বাঁচবে। ব্যাটারির
আয়ুও বাড়বে।
অনেক কষ্ট করে নেট ঘেঁটে এসব
আপনাদের জন্য বের করলাম। ভুল হলে মাফ
করবেন। ভালো লাগলে আমার এই
সাইটটিতে একটু ঢুঁ মারার অনুরোধ রইলো।
ভারত বাংলাদেশ থেকে বাৎসরিক কি পরিমান রেমিটেন্স পায়??? কখনো কি চিন্তা করেছেন!!!
দি টাইমস নিউজঃ
ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কের কথা
উঠলেই চলে আসে বিএসএফ, ক্রিকেট,
ফারাক্কা, হিন্দি সিনেমা অথবা
বাংলাদেশীদের অবৈধভাবে
ভারতে প্রবেশের কথা। আমরা কখনো
কি চিন্তা করে দেখেছি ভারত
বাংলাদেশ থেকে কিংবা
বাংলাদেশ ভারত থেকে কি
পারিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে
থাকে? তাহলে জেনে নিন:
- ভারত, ''কানাডা, সিঙ্গাপুর, কুয়েত,
ফ্রান্স, ইটালি, সাউথ আফ্রিকা এমনকি
অস্ট্রলিয়ার'' থেকেও বেশি
রেমিটেন্স আয় করে বাংলাদেশ
থেকে।
- ২০১৩ সালে বিদেশে বসবাসরত
বাংলাদেশী শ্রমিকেরা সর্বমোট ১৪
বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা দেশে
পাঠিয়েছে। আর বাংলাদেশে কর্মরত
ভারতীয়রা ৪ বিলিয়ন ডলার এ দেশ
থেকে নিয়ে গেছে।
- ভারত যেসব দেশ থেকে সবচেয়ে
বেশি রেমিট্যান্স আয় করে সেই
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান
পঞ্চম।
- ২০১২ ও ২০১৩ সালে ভারত সবচেয়ে
বেশি রেমিট্যান্স আয় করে সংযুক্ত
আরব আমিরাত থেকে। তালিকার
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র, তৃতীয় সৌদি আরব, চুতর্থ
যুক্তরাজ্য ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে
বাংলাদেশ।
ভারত যেসব দেশ থেকে সবচেয়ে
বেশি রেমিট্যান্স (বিদেশে
কর্মরতদের পাঠানো অর্থ) আয় করে সেই
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান
পঞ্চম। বাংলাদেশ থেকে ভারত বছরে
চার বিলিয়ন ডলার বা ৩১ হাজার
কোটি টাকা রেমিট্যান্স আয় করে।
গার্মেন্ট, টেক্সটাইল ও অনেক
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদসহ
বিভিন্ন ক্ষেত্রে কয়েক লাখ ভারতীয়
নাগরিক বাংলাদেশে কর্মরত
রয়েছেন। তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ
থেকে ভারত এ বিপুল পরিমাণ
রেমিট্যান্স অর্জন করছে।
২০১২ ও ২০১৩ সালে ভারত সবচেয়ে
বেশি রেমিট্যান্স আয় করে সংযুক্ত
আরব আমিরাত থেকে। তালিকার
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র, তৃতীয় সৌদি আরব, চুতর্থ
যুক্তরাজ্য ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে
বাংলাদেশ।
২০১৩ সালে ভারত সংযুক্ত আরব
আমিরাত থেকে ১৪ বিলিয়ন মার্কিন
ডলার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১১
বিলিয়ন ডলার, সৌদি আরব থেকে ৮
বিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্য থেকে ৪
দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার এবং
বাংলাদেশ থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার
রেমিট্যান্স আয় করেছে। প্রতিবেশী
অপর যে গরিব দেশটি থেকে ভারত
বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স আয় করে
নিয়েছে সেটি হলো নেপাল। ২০১২
সালে ভারত নেপাল থেকে ৩ দশমিক
২২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আয়
করেছে।
২০১৩ সালে ভারত মোট ৭০ বিলিয়ন
ডলার রেমিট্যান্স আয় করে প্রবাসে
কর্মরতদের কাছ থেকে।
গত ডিসেম্বর মাসে ভারতের দ্য
ইকোনমিক টাইমস পত্রিকায় এ বিষয়ক
একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ
ছাড়া ভারতের আরো অনেক
গণমাধ্যমে মাঝে মধ্যে প্রকাশিত
রেমিট্যান্সবিষয়ক খবরে এসব তথ্য উঠে
আসছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের বরাত
দিয়ে গত বছর এপ্রিল, মে ও অক্টোবর
মাসে ভারতের বিভিন্ন পত্রিকায়
প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়, ভারত
২০১৩ সালে ৭০ বিলিয়ন ডলার
রেমিট্যান্স আয় করেছে এবং
রেমিট্যান্স আয়ের দিক দিয়ে
ভারতের অবস্থান বিশ্বে শীর্ষে। অবশ্য
হিন্দুস্তান টাইমসে গত অক্টোবর মাসে
বিশ্বব্যাংকের বরাত দিয়ে বলা হয়,
ভারত ২০১৩ সালে ৭১ বিলিয়ন ডলার
রেমিট্যান্স আয় করে এবং পরপর ছয়বার
বিশ্বে এ ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থান দখল
করে।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২০১৩ সালে
ভারত অপর যেসব দেশ থেকে বেশি
রেমিট্যান্স আয় করে সেসব দেশ হলো
ষষ্ঠ কানাডা তিন বিলিয়ন ডলার, সপ্তম
নেপাল সোয়া তিন বিলিয়ন ডলার,
অষ্টম ওমান ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার,
নবম কাতার দুই বিলিয়ন ডলার, দশম
শ্রীলঙ্কা ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার,
১১তম অস্ট্রেলিয়া ১ দমমিক ৩ বিলিয়ন
ডলার, ১২তম সিঙ্গাপুর ১ বিলিয়ন ডলার।
এ ছাড়া বাহরাইন, ইতালি ও
মালয়েশিয়া থেকেও দেশপ্রতি ১
বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি
রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে সেসব দেশে
কর্মরত ভারতীয়রা।
কয়েক বছর ধরে ভারত থেকে
ক্রমাগতভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে সে
দেশে বিপুল বাংলাদেশী
অবৈধভাবে অবস্থান করছে। গত
নির্বাচনে বিজেপির অন্যতম ঘোষণা
ইস্যু ছিল তারা বিজয়ী হলে অবৈধ
বাংলাদেশীদের চিহ্নিত করে ভারত
থেকে বের করে দেয়া হবে। কিন্তু
২০১৩ সালের ২১ মে সিলিকন ইন্ডিয়া
নিউজ নামে একটি ওয়েবসাইটে
ভারতের রেমিট্যান্স অর্জনবিষয়ক
একটি খবরে উল্লেখ করা হয় উন্নয়নশীল
দেশ বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ লাখ
ভারতীয় লোক কর্মরত রয়েছে। সেই
রিপোর্টে ভারত থেকে নাগরিকদের
অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের
তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হয়,
ভারতের যেসব অঞ্চল থেকে
অবৈধভাবে লোকজন বাংলাদেশে
প্রবেশ করে সেগুলো হলোÑ পশ্চিমবঙ্গ,
মেঘালয়, আসাম, মিজোরাম ও
ত্রিপুরা। খবরটিতে সরকারি কর্তৃপক্ষের
বরাত দিয়ে বলা হয়, ভারতীয়
নাগরিকেরা বাংলাদেশের
গার্মেন্ট, টেক্সটাইলস ও বিভিন্ন
এনজিওতে কর্মরত রয়েছে।
গত ডিসেম্বর মাসে ভারতের
ইকোনমিক টাইমস পত্রিকায় ২০১২
সালে ভারত সবচেয়ে বেশি
রেমিট্যান্স অর্জন করেছে এমন শীর্ষ
২৫টি দেশের তালিকা প্রকাশ করে
মানচিত্রাকারে। ভারতের
রেমিট্যান্স অর্জনে অবদান রাখা ওই
২৫ দেশের মধ্যে শীর্ষ দশটি দেশ হলো
সংযুক্ত আরব আমিরাত ১৫ দশমিক ৬৮
বিলিয়ন ডলার, যুক্তরাষ্ট্র ১১ দশমিক ৯৬
বিলিয়ন ডলার, সৌদি আরব ৮ বিলিয়ন
ডলার, যুক্তরাজ্য ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন
ডলার, বাংলাদেশ ৪ বিলিয়ন ডলার,
কানাডা ৩ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার,
নেপাল ৩ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার,
কুয়েত ২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার, ওমান
২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ও কাতার ২
দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার।
২০১৩ সালে বিদেশে বসবাসরত
বাংলাদেশী শ্রমিকেরা সর্বমোট ১৪
বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা দেশে
পাঠিয়েছে। আর বাংলাদেশে কর্মরত
ভারতীয়রা ৪ বিলিয়ন ডলার এ দেশ
থেকে নিয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদেশে কর্মরত
বাংলাদেশী শ্রমিকেরা রাস্তা
ঝাড়– দেয়া, বাগান, নির্মাণশিল্প ও
বিভিন্ন কারখানায় অত্যন্ত কঠোর
পরিশ্রম আর মানবেতর জীবনযাপন করে এ
অর্থ দেশে পাঠান। মরুর বুকে তীব্র
গরমে রাস্তা ঝাড়– দিয়ে অনেকে
দেশে টাকা পাঠান। আর ভারতের
বিপুলসংখ্যক নাগরিক এ দেশে
গার্মেন্ট টেক্সাটাইলসহ বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠানে লাখ লাখ টাকা বেতনে
গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত রয়েছেন। একটি তথ্য
মতে, বাংলাদেশের গার্মেন্টে ২২
হাজার গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারতীয়
নাগরিকরা কর্মরত।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক গত ৩
জানুয়ারি বাংলাদেশের অর্থনীতি
পর্যালোচনাবিষয়ক এক সংবাদ
সম্মেলনেও ভারতের রেমিট্যান্স
অর্জনে অবদানকারী দেশগুলোর
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান
পঞ্চম বলে উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশ থেকে বছরে ভারতের ৪
বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আয় করা
বিষয়ে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক
প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান নয়া
দিগন্তকে বলেন, মাঝারি স্তরে
আমাদের যথেষ্ঠ দক্ষ জনবল তৈরি হয়নি।
সেই সুযোগই নিচ্ছে ভারত। শুধু ভারত নয়
পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কারও বিপুল
নাগরিক বাংলাদেশে গার্মেন্টসহ
বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে
কর্মরত রয়েছেন। আমাদের উচিত মিড
লেভেলে দক্ষ জনবল সৃষ্টি করে
পরনির্ভরশীলতা কমিয়ে আনা। তাতে
আমাদের উৎপাদন খরচও অনেক কমবে।
প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,
পাঁচ লাখ ভারতীয় এখানে কাজ করছে
এ তথ্য কতটা সঠিক তা আমার জানা
নেই। তবে সরকারের উচিত সঠিক
সংখ্যা বের করা। শুধু ভারত নয় অন্যান্য
দেশেরও কত লোক এখানে কাজ করছে
তারও সঠিক তথ্য আমাদের জানা
থাকা উচিত।
ভারতের মিনিস্ট্রি অব ওভারসিস
ইন্ডিয়ান অ্যাফেয়ার্সের তথ্য মতে,
২০১২ সালে দুই কোটি ১৯ লাখ ভারতীয়
বিভিন্ন দেশে কর্মরত ছিল। ২০১২
সালে সৌদি আরবে ১৭ লাখ ৮০
হাজার, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৭
লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় নাগরিক
কর্মরত ছিল।
বিশ্বব্যাংকের গত এপ্রিল মাসের
প্রতিবেদনে বলা হয় ২০১৩ সালে
বিশ্বে শীর্ষ রেমিট্যান্স আয়ের দেশ
ছিল ভারত। তারা দেশে নিয়েছে ৭০
বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় স্থানে ছিল
চীন ৬০ বিলিয়ন ডলার, তৃতীয়
ফিলিপাইন ২৫ বিলিয়ন ডলার, চতুর্থ
মেক্সিকো ২২ বিলিয়ন ডলার, পঞ্চম
নাইজেরিয়া ২১ বিলিয়ন ডলার, ষষ্ঠ
মিসর ১৭ বিলিয়ন ডলার, সপ্তম
পাকিস্তান ১৫ বিলিয়ন ডলার, অষ্টম
বাংলাদেশ ১৪ বিলিয়ন ডলার, নবম
ভিয়েতনাম ১১ বিলিয়ন ডলার দশম
ইউক্রেন ১০ বিলিয়ন ডলার।
(ধন্যবাদ) পোষ্টটি পরার জন্য....