সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫

জনপ্রিয়তার শীর্ষে ফেসবুক অ্যাপ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্মার্টফোনে সর্বাধিক ইনস্টল করা অ্যাপগুলোর মধ্যে এক নম্বর স্থানটি এবছরও ধরে রাখতে চলেছে ফেসবুক। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়েলসেন। তবে ফেসবুকের মোবাইল মেসেজিং অ্যাপ ফেসবুক মেসেঞ্জার ২০১৫ সালের সবচেয়ে দ্রুত বিস্তার লাভ করা অ্যাপ।
মানুষ ক্রমেই পাবলিক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং থেকে প্রাইভেট কমিউনিকেশনে স্থানান্তর হচ্ছে এটা আঁচ করতে পেরে ফেসবুক ২০১৪ সালের শেষের দিকে ব্যবহারকারীদের মেসেঞ্জার ইনস্টল করতে বাধ্য করে। আর সেই মাস থেকেই অ্যাপটি অ্যাপ স্টোরের তালিকায় সর্বাধিক ইনস্টল হওয়া অ্যাপ। ২০১৫ সাল জুড়ে মেসেঞ্জারের বিস্তৃতি বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণ। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সাল অপেক্ষা ৩১ শতাংশ ব্যবহারকারী বেড়েছে অ্যাপটিতে।
অ্যাপল মিউজিক অ্যাপটির ব্যবহারকারীর সংখ্যাও খুব দ্রুত পরিমাণে বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় অ্যাপটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৬ শতাংশ পরিমাণ বেড়েছে।
ব্যবহারকারী বৃদ্ধির মানে ফেসবুকে প্রত্যেক মাসে অন্তত ১২৬ মিলিয়ন ব্যবহারকারী বেড়েছে যা পূর্বেকার বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি। আর ইউটিউবে প্রত্যেক মাসে অন্তত ৯৭ মিলিয়ন ব্যবহারকারী বেড়েছে যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি।
ফেসবুক গত মাসে জানায়, সাইটটিতে বিশ্বব্যাপী ১.৩৯ বিলিয়ন মোবাইল ব্যবহারকারী আছে। প্রত্যেক বছর ২৩ শতাংশ করে সাইটটিতে ব্যবহারকারী বাড়ছে। আর প্রত্যেক মাসে আমেরিকা, কানাডাতে ২১৭ মিলিয়ন (শুধুমাত্র মোবাইল ইউজার নয়) অ্যাক্টিভ ইউজার আছে সাইটটিতে।
২০১৫ সালের অন্যান্য শীর্ষ অ্যাপগুলোর মধ্যে ৯৫.০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী নিয়ে গুগল (সার্চ), ৮৯.৭ মিলিয়ন ব্যবহারকারী নিয়ে গুগল প্লে, ৭৫.১ মিলিয়ন ব্যবহারকারী নিয়ে গুগল ম্যাপস, ৫৫.৪ মিলিয়ন নিয়ে ইনস্টাগ্রাম, ৪৪.৪ মিলিয়ন নিয়ে অ্যাপল ম্যাপস তালিকায় আছে।
সূত্র: টেক ক্রা

শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০১৫

এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করার ও ব্যাটারীর চার্জ বেশিক্ষন ধরে রাখার জন্য কিছু টিপস।

আজকাল এন্ড্রয়েড ফোনগুলো বেশ
জনপ্রিয়। হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সব
দিক থেকে হ্যান্ডসেটগুলো দিন দিন
আরও উন্নত হয়ে উঠছে। কিন্তু এর
ব্যাটারি ব্যাকআপ সমস্যা যেন কোন
ভাবেই এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। আমার
আজকের আয়োজন এমন কিছু কৌশল
নিয়ে যা আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের
ব্যাটারিকে কিছুটা হলেও
দীর্ঘস্থায়ী করবে। চলুন শুরু করি।
→ ডার্ক কালার ব্যাকগ্রাউন্ড
ব্যাবহার করুন। আপনার ফোন যদি
এমোলেড স্ক্রিন বিশিষ্ট হয় তবে এ
পদ্ধতিটি কাজে দিবে কেননা
এমোলেড স্ক্রিন শুধু রঙিন
পিক্সেলগুলোকে আলোকিত করে।
→ অ্যাপ গুলোকেও সম্ভব হলে কালো
করে রাখুন। (ইউজার ইন্টারফেস/স্কিন/
থিম সেটিংস এর মাধ্যমে)
→ অটো ব্রাইটনেস থেকে দূরে থাকুন।
যখন দরকার শুধুমাত্র তখন ব্রাইটনেস
অ্যাডজাস্ট করুন।
→ ভাইব্রেশন বন্ধ করে রাখুন। তবে
চলতি পথে ভাইব্রেশন বন্ধ করার আগে
দুবার ভাবুন, কেননা ভাইব্রেশন বন্ধ
করলে আপনি হয়ত কল/মেসেজের
নোটিফিকেশন টের পাবেন না।
→ অরিজিনাল ব্যাটারি ব্যাবহার
করুন। ডিসপ্লে লাইটের টাইমআউট
কমিয়ে রাখুন। এতে প্রচুর চার্জ
খরচ হয়। একটি রিপোর্টে দেখা যায়
একজন ব্যবহারকারী দৈনিক ১৫০ বার
তার ফোন ডিসপ্লে অন
করেন।
→ প্রয়োজন না হলে মোবাইল
ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখুন। স্মার্ট
ফিচার যেমন এয়ার জেশ্চার, স্মার্ট
স্ক্রলিং বন্ধ করে রাখুন। শুধুমাত্র
প্রয়োজন হলেই সেগুলো ব্যবহার করুন।
→ জিপিএস, এনএফসি, ওয়াই ফাই এবং
ব্লুটুথ শুধু দরকার হলেই অন করুন।
→ যেসব উইজেড দরকার নেই বিশেষ
করে যেগুলো নেটে কানেক্টেড হয়ে
থাকে সেগুলো কম ব্যবহার করুন।
আপডেটেড অ্যাপ ব্যবহার করুন কেননা,
সাধারণত নতুন অ্যাপ অপটিমাইজ করা
থাকে যাতে
ব্যাটারি আরও কম খরচ হয়।
→ ফোনে ব্যাটারি সেভিং মুড
ব্যবহার করুন। যদি সারাদিনে একবার
ইমেইল চেক করেন তাহলে সব সময়ের
জন্য ইমেইল ওপেন করে রাখার কোনো
দরকার নেই।
→ গুগল প্লে স্টোর সেটিং পরিবর্তন
করে ম্যানুয়াল আপডেট করে রাখুন।
“ওকে গুগল” ভয়েস সার্চ অপশনটি খুব সুন্দর
কিন্তু এটিও অনেক চার্জ নষ্ট করে।
→ ফোনে অ্যানিমেশন বন্ধ রাখুন।
ফোনে লোকেশন সার্ভিস বন্ধ রাখুন।
এতোগুলো টিপস পড়ার পর আপনার হয়ত
মনে হতে পারে এতো কিছু বন্ধ করে
রাখলে স্মার্ট ফোন চালানোর দরকার
কী?
হ্যাঁ এই প্রশ্ন শুধু আপনার নয় বরং সব বড় বড়
ফোন নির্মাতারাও এর সমাধান খুঁজছে
যাতে করে ফোনের
ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো যায় আর
এর জন্য প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছে। হয়ত
ভবিষ্যতে এমন দিন আসবে যে আর
ব্যাটারির এ ধরনের সমস্যাগুলো নিয়ে
চিন্তা করতে হবে না।

শনিবার, ১৩ জুন, ২০১৫

যে কোন স্মার্টফোনকে সহজেই রুপান্তরিত করুন হার্ট রেট মনিটরে

বাজারের হাই এন্ড এবং কিছু কিছু মিড
রেঞ্জের ডিভাইসে বর্তমানে হার্ট রেট
মনিটর ফিচারটি অনেক বেশি জনপ্রিয়।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ঐযে, 'টাকা'। এখন
পর্যন্ত লো এন্ডের কোন স্মার্টফোনে
যেহেতু এই ফিচারটি অ্যাভেইলেবল হয়নি
সেক্ষেত্রে অনেকের ইচ্ছে থাকলেও
এই ফিচারটি ব্যবহার করা হয়ে ওঠেনি।
তবে, আমি আজ আপনাদের সাথে এমন
একটি ছোট্ট ট্রিক শেয়ার করতে যাচ্ছি
যার মাধ্যমে আপনিও আপনার অ্যান্ড্রয়েড
ডিভাইসটিকে হার্ট রেট মনিটর হিসেবে
ব্যবহার করতে পারবেন। কীভাবে? চলুন
জেনে নেয়া যাক।
প্রথমে চলুন, স্মার্টফোনে থাকা এই হার্ট
রেট মনিটরের টেকনোলোজি মূলত
কীভাবে কাজ করে তা জেনে নেয়া
যাক। স্মার্টফোনে থাকা এসকল হার্ট রেট
মনিটরে থাকে পালস অক্সিমিটারস যা
মূলত আমাদের ফিঙ্গারপ্রিন্টের রঙের
পরিবর্তনকে ট্র্যাক করে থাকে। এই রঙের
পরিবর্তন হয়ে থাকে আমাদের স্কিনের
নিচে থাকা পালসেটিং ব্লাডের
কারণে। এই সম্পূর্ণ প্রসিডিউরটিতে মূলত
দরকার হয় একটি লাইট সোর্স এবং একটি
মিজারমেন্ট সফটওয়্যার। তাই, একটি
ক্যামেরা অ্যাপলিকেশনের মাধ্যমে
আমরা এই বেসিককে কাজে লাগিয়ে
আমাদের স্মার্টফোনে যোগ করতে পারি
চমৎকার এই হার্ট রেট মনিটর সিস্টেমটি।
গুগল প্লে স্টোরে আপনি খুঁজলেই
অনেকগুলো হার্ট রেট মনিটর
অ্যাপলিকেশন পেয়ে যাবেন। কিছু কিছু
ফিটনেস ইন্ডাস্ট্রির অ্যাপলিকেশনের
অনেক বড় বড় নামের অ্যাপলিকেশনও
দেখতে পাবেন, যেমন - Runtastic Heart-
Rate Monitor, তবে আমার কাছে যে
অ্যাপলিকেশনটি বিশ্বাসযোগ্য মনে
হয়েছে তা হলো Instant Heart-Rate। এই
অ্যাপলিকেশনটি যে দুটি কারণে আমার
পছন্দের তালিকায় রয়েছে তা হচ্ছে, এটি
চমৎকার ফলাফল দেয়ার সাথে সাথে
ব্যাটারি ড্রেন খুবই কম করে, এবং এই
অ্যাপলিকেশনটি ইন্সটলের সময় পারমিশনও
খুবই কম চায়। এছাড়াও সিম্পল এই
অ্যাপলিকেশনটির আকারও অনেক ছোট।
Instant Heart-Rate অ্যাপলিকেশনটি মূলত
দিনের বিভিন্ন সময় বেশ কয়েকবার একজন
ব্যবহারকারীর হার্ট রেট ট্র্যাক করে
থাকে এবং এই ট্র্যাকিং ইনফরমেশনগুলো
খুব সহজেই ডিটেইলস আকারে
অ্যাপলিকেশনটির টাইম লাইন থেকে
দেখে নেয়া যায়। আপনি ইচ্ছা করলে এই
ট্র্যাক তথ্যগুলো একটি azumio অ্যাকাউন্টে
সংরক্ষণ করতে পারেন, অথবা গুগল ফিটেও
সংরক্ষণের সুবিধা দিয়ে থাকে এই
অ্যাপলিকেশনটি। শুধু হার্ট রেটি মনিটরই
নয়, বরং এই অ্যাপলিকেশনটি অন্যান্য
স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য দিয়েও আপনাকে
সাহায্য করবে তবে সেই ইনফোগুলো
ভ্যারি করবে আপনার বয়স, ওজন এবং
জেনারেল ফিটনেসের সাথে।
হার্ট রেট মনিটর অ্যাপলিকেশনটি যদি
কাজ করতে করতে স্টাক হয়ে যায় তবে এর
দুটি কারণ হতে পারে,
আপনি খুব ভর দিয়েছেন,
আপনার আঙ্গুল সরে গিয়েছে।
ভালো ফলাফল পাবার জন্য সবচাইতে
ভালো হয় যদি আপনার আঙ্গুল আপনি
আপনার ডিভাইসের ফ্লাসের উপর খুবই
হালকা ভাবে রাখেন এবং প্রসিডিউর
চলাকালীন সময়ে আঙ্গুলের মুভমেন্ট না
হয়। তারপরও যদি স্টাক হয় তবে প্রথম থেকে
না হয় আবার শুরু করুন।
অ্যাপলিকেশনটির একটি ড্রব্যাক সাইড
রয়েছে এবং আসলে এই ড্রব্যাকটি আমরা
যেকোনো ধরণের ফ্রি অ্যাপলিকেশনেই
ফেস করে থাকি এবং তা হচ্ছে এটি
মাঝে মাঝেই আপনাকে পপ আপ অ্যাড
প্রদর্শন করবে, তবে চমৎকার সুবিধা যেহেতু
এই ছোট্ট অ্যাপলিকেশনটি থেকে আমরা
পাচ্ছি সেক্ষেত্রে এইটুকু অসুবিধা সহ্য
করা যায়, কি বলেন? তাছাড়াও আপনারা
যদি চিন্তা করে থাকেন যে এই সমস্যা
থেকে মুক্তি পাবার জন্য আপনারা এর
পেইড ভার্সনটি ব্যবহার করবেন তবে আমার
মনে হয়না এটা কোন ভালো সিদ্ধান্ত
হবে। কেননা, আমি এর পেইড ভার্সনটিও
ব্যবহার করে দেখেছি এবং পেইড
ভার্সনে এক্সট্রা কোন ফিচার আমি
দেখতে পাইনি। তাই আমার মতে, শুধুমাত্র
অ্যাড স্কিপ করার জন্য পেইড
অ্যাপলিকেশনটি কেনার কোন প্রয়োজন
নেই।
অ্যাপটি আপনারা প্লে স্টোর থেকে
বিনামূল্যেই ডাউনলোড করে নিতে
পারবেন।
ডাউনলোড লিংক: গুগল প্লে স্টোর।
শেষ কথা:
যারা ভাবছেন যে এটা সম্ভব না বা কাজ
করবে না, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি,
আমারও ধারণা তাই ছিল। কিন্তু আমি এর
ফলাফলের সাথে স্যামসাং গ্যালাক্সি
এস ৫ ডিভাইসটির হার্ট রেট মনিটরের
ফলাফল মিলিয়ে প্রায় ৭৫ শতাংশ মিল
পেয়েছি। তাই, আশা করি আপনারাও এর
ফলাফলে নিরাশ হবেন না। যাই হোক, আজ
আর নয়, ভালো থাকবেন সবাই।

ফ্লিপকার্ট থেকে স্মার্টফোন কিনে ক্রেতা হাতে পেলেন আম!

ভারতের শীর্ষ ই-কমার্স
ওয়েবসাইট ফ্লিপকার্ট থেকে একটি
জেনফোন অর্ডার করেছিলেন
তেলেঙ্গানা রাজ্যের এক ব্যক্তি। তবে
শিলুভেরি স্রুচরন নামের ওই ক্রেতার
হাতে স্মার্টফোনের পরিবর্তে পৌঁছে
দেওয়া হল আম!
স্রুচরন জানান, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে
২৬শে মে তিনি ফ্লিপকার্টে
স্মার্টফোনটি কেনার জন্য অর্ডার
দিয়েছিলেন। এ মাসের ৮ তারিখ
ফেডেক্সের মাধ্যমে তার কাছে
স্মার্টফোনের বক্সটি পৌঁছে দেওয়া হয়।
আর বক্স খুলেই তিনি অবাক হয়ে দেখেন
স্মার্টফোনের বদলে সেখানে দুটি আম
রাখা।
এরপর তিনি ফ্লিপকার্ট কাস্টমার কেয়ারে
যোগাযোগ করলে সেখান থেকে তাকে
রিফান্ডের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। একদিন পর
টাকা ফেরত না পেয়ে আবারও তিনি
ফোন করেন কাস্টমার কেয়ারে। এবার
তাকে বলা হয় একদিনের মধ্যে তার
স্মার্টফোনটি পাঠানো হবে। তবে আরও
একদিন পার হয়ে গেলেও স্মার্টফোন
কিংবা টাকা, কোনটাই না পেয়ে
আবারও তিনি ফোন করেন ফ্লিপকার্ট
কাস্টমার কেয়ারে। এবার তাকে অবাক
করে দিয়ে সেখান থেকে বলা হয়, কোন
কারণ ছাড়াই পণ্য ফেরত পাঠানোর কারণে
তিনি রিফান্ড পাবেন না। এছাড়া এই
ব্যাপারটি কোথাও প্রকাশ না করতে
তাকে হুমকিও দেওয়া হয়।
তবে স্রুচরন ভোক্তা অধিকার বিষয়ক
ফোরামের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি
নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন
সংবাদমাধ্যমকে।

ফ্লিপকার্ট থেকে স্মার্টফোন কিনে ক্রেতা হাতে পেলেন আম!

ভারতের শীর্ষ ই-কমার্স
ওয়েবসাইট ফ্লিপকার্ট থেকে একটি
জেনফোন অর্ডার করেছিলেন
তেলেঙ্গানা রাজ্যের এক ব্যক্তি। তবে
শিলুভেরি স্রুচরন নামের ওই ক্রেতার
হাতে স্মার্টফোনের পরিবর্তে পৌঁছে
দেওয়া হল আম!
স্রুচরন জানান, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে
২৬শে মে তিনি ফ্লিপকার্টে
স্মার্টফোনটি কেনার জন্য অর্ডার
দিয়েছিলেন। এ মাসের ৮ তারিখ
ফেডেক্সের মাধ্যমে তার কাছে
স্মার্টফোনের বক্সটি পৌঁছে দেওয়া হয়।
আর বক্স খুলেই তিনি অবাক হয়ে দেখেন
স্মার্টফোনের বদলে সেখানে দুটি আম
রাখা।
এরপর তিনি ফ্লিপকার্ট কাস্টমার কেয়ারে
যোগাযোগ করলে সেখান থেকে তাকে
রিফান্ডের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। একদিন পর
টাকা ফেরত না পেয়ে আবারও তিনি
ফোন করেন কাস্টমার কেয়ারে। এবার
তাকে বলা হয় একদিনের মধ্যে তার
স্মার্টফোনটি পাঠানো হবে। তবে আরও
একদিন পার হয়ে গেলেও স্মার্টফোন
কিংবা টাকা, কোনটাই না পেয়ে
আবারও তিনি ফোন করেন ফ্লিপকার্ট
কাস্টমার কেয়ারে। এবার তাকে অবাক
করে দিয়ে সেখান থেকে বলা হয়, কোন
কারণ ছাড়াই পণ্য ফেরত পাঠানোর কারণে
তিনি রিফান্ড পাবেন না। এছাড়া এই
ব্যাপারটি কোথাও প্রকাশ না করতে
তাকে হুমকিও দেওয়া হয়।
তবে স্রুচরন ভোক্তা অধিকার বিষয়ক
ফোরামের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি
নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন
সংবাদমাধ্যমকে।

মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০১৫

দেবিদ্বারে স্কুলগেইট থেকে তুলে নিয়ে ৪ ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করলো সন্ত্রাসীরা : প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত

টাইমস নিউজ ডেস্কঃ
কুমিল্লার দেবিদ্বারে ‘দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল
পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে আসা ৪ শিক্ষার্থীকে
গেইট থেকে তুলে নিয়ে বেধরক পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছ
একদল সন্ত্রাসী। ওই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীর স্বজনেরা
‘কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক’ অবরোধ করে। প্রসাশনের হস্তক্ষেপে
এবং অপরাধীদের গ্রেফতারপূর্বক সুষ্ঠবিচারের আশ্বাস প্রদান,
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিতের মধ্য দিয়ে অবরোধ
প্রত্যাহার করা হলেও ওই ঘটনায় উপজেলা সদরে চরম উত্তেজনা
বিরাজ করছে। আহতদের দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে ভর্তী করা হয়েছে। অবরোধ চলাকালে সড়কের
দু’পার্শ্বে বিপুল সংখ্যক যান ও মালবাহী পরিবহন আটকে যায়,
ফলে নারী ও শিশুদের চরম দূভোগ পোহাতে হয়।
পুলিশ, স্থানীয় ও প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকালে
দেবিদ্বার পৌর এলাকার বানিয়াপাড়া গ্রামের মিজানুর
রহমান বাবুর্চি দু’পুত্র ‘দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট
উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ মাজহারুল ইসলাম,
দশম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ মারুফ হোসেন, একই গ্রামের বাবুল
সরকারের পুত্র নবম শ্রেণীর ছাত্র সোহান সরকার ও মীর
হোসেন’র পুত্র অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ফরহাদ হোসেন অর্ধবার্ষিক
পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে বিদ্যালয়ে ঢুকার সময় গেইট থেকেই
জাভেদ পাঠান ও ফারুকের নেতৃত্বে বিল্লাল, রাব্বী, মালি,
সবুজ পাঠান, বাবু পাঠান, অলি, নূরুন্নবী, সাইফুল, সোহেল,
সোহেল আহমেদ, সৈকত, জাকির, সুমন (হানিফ), জাভেদ,
সোহান, বাদল, ইমনসহ ১৫/২০জন সন্ত্রাসী তাদের রিক্সায় তুলে
নিয়ে দেবিদ্বার আলহাজ্ব জোবেদা খাতুন মহিলা কলেজ’র
সামনে বেধরক কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা
তাদের উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
ভর্তী করে। ওই ঘটনায় আহতদের স্বজনদের আহবানে
বানিয়াপাড়া গ্রামের অধিবাসীরা ঘটনার প্রতিবাদে দুপুর
১২টা থেকে ‘কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক’ অবরোধ করে রাখে।
প্রায় পৌনে এক ঘন্টা অবরোধ চলার পর দেবিদ্বার থানার
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান, উপ-পরিদর্শক আবু
ইউছুফ, উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুুরুল ইসলাম মজুমদারের নেতৃত্বে একদল
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা
চালায়। পরে উপজেলা পরিষদ’র সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান
একেএম সফিকুল আলম কামাল, ব্যবসায়ি মনিরুল ইসলামসহ
এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে এবং পুলিশের
পক্ষ থেকে অপরাধীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির
আশ্বাসে অবরোধকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।
আহত শিক্ষার্থী মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও মোঃ মারুফ
হোসেন’র পিতা মোঃ মিজানুর রহমান বাবুর্চি জানান,
দেবিদ্বার গ্রামের আকামত আলী পাঠানের পুত্র জাভেদ
পাঠান (১৮) ‘দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট উচ্চ
বিদ্যালয়’র ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র একই বিদ্যালয় ও বহিরাগত
বখাটেদের একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল নিয়ে বিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীদের অকারনে প্রায়ই মারধর করে আসছিল এবং
ছাত্রদের পকেটে থাকা টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যেত।
কেউ তার প্রতিবাদ করলে পরিনামে আরো বেশী মার খেতে
হত। তাই প্রতিবাদ করার সাহসও কারোর নেই। বিষয়টি প্রধান
শিক্ষকের নিকট অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি
শিক্ষার্থীরা। আমার দু’ছেলেসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা
পরীক্ষা দিতে গেলে তাদের ৪ জনকে তুলে নিয়ে
নির্মমভাবে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। ওই
ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও
জানান তিনি।
দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ’র সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান
একেএম সফিকুল আলম কামাল বলেন, জাভেদ পাঠানের
অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে যেয়ে বানিয়াপাড়া
গ্রামের শিক্ষার্থীরা গত দু’সপ্তাহে একাধিকবার হামলার
শিকার হতে হয়। ওই ঘটনায় দু’গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে
একাধিক সালিসে ঘটনা মিমাংসা করা হয়। অর্ধবার্ষিকী
পরীক্ষা চলাকালে গত ক’দিন ধরে সন্ত্রাসীরা
বানিয়াপাড়া গ্রামের শিক্ষার্থীদের হুমকী দিয়ে আসছিল।
আজ আবারো এ হামলা। বানিয়াপাড়া গ্রামের প্রায়
দু’শতাথিক শিক্ষার্থী ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে বিদ্যালয়ে আসতে
হচ্ছে।
‘দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, জাভেদ
পাঠান সন্ত্রাসী প্রকৃতির ছেলে, সে অত্র বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ
শ্রেণীতে পড়লেও তার বয়স হবে ১৮ বছরের উপরে, ক্লাশ
কিংবা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেনি কখনো। শিক্ষার্থীদের
অভিযোগের কারনে পরিচালনা পর্ষদকে বিষয়টি
জানিয়েছি। আজ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী কম হওয়ায় পরীক্ষা
স্থগিত ঘোষনা করতে বাধ্য হয়েছি।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ মিজানুর
রহমান বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। অপরাধিদের গ্রেফতার পূর্বক
আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে। পরীক্ষা চলাকালে
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় বিদ্যালয়ের আশপাশে পুলিশ
মোতায়েন থাকবে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম
বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা এবং হামলার
কারনে পরীক্ষা বন্ধ, সড়ক অবরোধের ঘটনায় দায়ি সন্ত্রাসীরা
যতবড় শক্তিধর হোকনা কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে

শুক্রবার, ২২ মে, ২০১৫

বিশ্বের সব দেশে চালু হচ্ছে ফেসবুকের নিজস্ব ভিডিও-কলিং

জনপ্রিয় ভিডিও কলিং অ্যাপ
স্কাইপকে টেক্কা দিতে যাচ্ছে
সোশ্যল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক।
এবার বিশ্বের সব দেশে চালু হচ্ছে
ফেসবুকের নিজস্ব ভিডিও-কলিং
সুবিধা।
গত মাসে প্রথম ফ্রি ভিডিও কলিং
চালু করেছিল ফেসবুক। ইতিমধ্যেই
বেশ কয়েকটি দেশে তা চালু
রয়েছে। এবার সেই সুবিধা বিশ্বের
সব দেশে চালু করা হচ্ছে বলে জানা
গিয়েছে।
ফেসবুকে কথা বলা যেত আগে
থেকেই। অর্থাৎ ভয়েস কলিংয়ের
সুবিধা ছিল। এবার যোগ হল ভিডিও
কলিংয়ের সুবিধা। বেলজিয়াম,
কানাডা, ডেনমার্ক, ক্রোয়েশিয়া,
ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো,
নাইজেরিয়া, নরওয়ে, পোল্যান্ড,
পর্তুগাল, আমেরিকা ও ব্রিটেনে এই
সুবিধা চালু করা হয়েছে।
এই সুবিধার জন্য দরকার হবে না কোনও
ওয়াই-ফাই কানেকশন। এই পরিষেবা
পেতে গেলে আপনার স্মার্টফোনে
থাকতে হবে মেসেঞ্জার অ্যাপের
লেটেস্ট ভার্সানটি।
নতুন ভার্সনের অ্যাপ খুললেই
ডানদিকে আসবে ভিডিও কলিংয়ের
অপশন। ক্লিক করলেই সেলফি মোডে
অন হয়ে যাবে ক্যামেরা। ক্যামেরার
উইন্ডোটি হাত দিবে এদিক-ওদিক
ঘোরানো যাবে সহজেই।

স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কিছু ভুল ধারণা

ব্যবসা ও প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট
বিজনেস ইনসাইডার সম্প্রতি প্রযুক্তি
বিষয়ক ভুল ধারণা নিয়ে একটি
প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে
থেকে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের
ভুল ধারণাগুলো জেনে নিন।
চার্জ ফুল হওয়ার পরও চার্জে
লাগিয়ে রাখলে ব্যাটারি নষ্ট হয়
ব্যাটারির চার্জ পূর্ণ হয়ে গেলেও
অনেকেই চার্জার সরিয়ে নিতে
ভুলে যান এবং অনেক ক্ষেত্রে
দেখা যায় সারারাত ফোনটি
চার্জারের সঙ্গেই সংযুক্ত থেকে
যায়। অনেকেই ধারণা করেন, এতে
ফোনের ব্যাটারি মারাত্মক
ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু এতে ব্যাটারির
ক্ষতি হওয়ার কোনো প্রমাণ এখন
পর্যন্ত মেলেনি।
স্মার্টফোনগুলোতে এখন লিথিয়াম-
আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয় যা যথেষ্ট
স্মার্ট, তাই চার্জ পূর্ণ হয়ে গেলে
ব্যাটারিতে চার্জ হওয়া বন্ধ হয়ে
যায়।
ব্যাটারির চার্জ সম্পূর্ণ শেষ না হলে
চার্জ দেওয়া যাবে না
এটাও বেশ প্রচলিত একটি ভুল ধারণা
স্মার্টফোনের লিথিয়াম-আয়ন
ব্যাটারি সম্পর্কিত। ব্যাটারির চার্জ
সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার আগেই চার্জ
দেওয়া শুরু করলে কোনো ক্ষতি নেই,
বরং তা ব্যাটারির আয়ুর পক্ষে
ভালো। চার্জ ধরে রাখার ক্ষমতা
পুরোপুরি হারানোর আগে
ব্যাটারিকে চার্জ চক্রের একটা
নির্দিষ্ট সীমা পার করতে হয়। এবং
এভাবে ধীরে ধীরে অনেকগুলো
সাইকেল পার হওয়ার পর ব্যাটারি
পুরনো হয়ে আয়ু কমতে থাকে। যখন
চার্জ পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়, তখন
একটি চক্র শেষ হয়।
বেশি মেগাপিক্সেল মানেই উন্নত
ক্যামেরা
১২ মেগাপিক্সেল আর ৮
মেগাপিক্সেল ক্যামেরার মধ্যে
পার্থক্য কী? আদতে তেমন কোনো
পার্থক্য চোখে পড়ে না। ছবির মান
নির্ভর করে ক্যামেরা সেন্সর কী
পরিমাণ আলো গ্রহণ করে তার ওপর।
সাধারণত বড় সেন্সরে বড় পিক্সেল
থাকে এবং পিক্সেল যত বড় হয় এটি
তত বেশি আলো গ্রহণ করতে পারে।
তাই মেগাপিক্সেলের সংখ্যার
চেয়ে মেগাপিক্সেল আকার বেশি
গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দর একটা ছবি তুলেতে
ক্যামেরার লেন্স, সেন্সর, আপনার
নিজের লাইটিং জ্ঞান এবং
ক্যামেরার ওপর দখল গুরুত্বপূর্ণ।
ডিসপ্লের রেজুলেশন বেশি হলে
ভালো
কয়েকজন বিশেষজ্ঞ যুক্তি
দেখিয়েছেন যে, স্মার্টফোনে
স্ক্রিন রেজুলেশনের বিষয়টি তেমন
কোনো বিষয়ই নয়। প্রযুক্তি
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে
গিজমোডো ডটকমে বলা হয়েছে,
ডিসপ্লেতে প্রতি ইঞ্চিতে ৩০০
পিক্সেলের বেশি হয়ে গেলে
মানুষ আর খালি চোখে পার্থক্য
ধরতে পারে না। বিশেষজ্ঞরা
বলছেন, মানুষের চোখ যেহেতু একটি
নির্দিষ্ট পয়েন্টের পর আর
পিক্সেলের প্রভাব ধরতে পারে না
তাই রেজুলেশনের এই সংখ্যা
আসলে কোনো কাজে আসে কী
না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। এ কারণে
অ্যাপলের মতো বেশ কয়েকটি
প্রতিষ্ঠান অধিক ঘনত্বের ডিসপ্লের
পরিবর্তে ব্রাইটনেস বা উজ্জ্বলতার
দিকে বেশি মনোযোগী হয়েছে।
ব্যবহারে ব্রেন ক্যানসার হয়
অনেকের মনে এমন ধারণা ঘুরপাক
খেলেও, এখন পর্যন্ত কোনো
গবেষণাতেই প্রমাণিত হয়নি যে,
মোবাইল ফোন থেকে নির্গত
স্বল্পমাত্রার তেজস্ক্রিয়তার কারণে
ক্যান্সার হতে পারে।

বুধবার, ২০ মে, ২০১৫

২০১৫ সালের সেরা কিছু অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপলিকেশন

বর্তমান বাজারে যেসকল
স্মার্টফোনগুলো পাওয়া যায় তাদের
মধ্যে তিনটি অপারেটিং সিস্টেমের
ফোন বেশি জনপ্রিয়। আইফোন,
অ্যান্ড্রয়েড এবং উইন্ডোজ। আবার যদি
এই তিনটির মধ্যে র্যাংকিং করা যায়
তবে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং
সিস্টেম বিশিষ্ট স্মার্টফোনই জয়
পাবে। আপনি কি জানেন অ্যান্ড্রয়েড
স্মার্টফোনগুলোর এত জনপ্রিয়তার
পেছনে ঠিক কোন কারণটি কাজ করে
থাকে? আমিই বলছি। অ্যান্ড্রয়েড
স্মার্টফোনগুলোর জনপ্রিয়তার পেছনে
মূলত সর্বোচ্চ কাস্টমাইজেশন অপশন,
সবচাইতে বেশি সংখ্যক অ্যাপ এবং এর
সহজলভ্যতাই কাজ করে থাকে। যত ধরণের
অপারেটিং বিশিষ্ট স্মার্টফোন
বর্তমান বাজারে পাওয়া যাচ্ছে
সেগুলোর মধ্যে সবচাইতে বেশি
অ্যাপলিকেশন অ্যান্ড্রয়েডের। কোন
ধরণের অ্যাপলিকেশন নেই
অ্যান্ড্রয়েডের জন্য! তাও আবার একই
ক্যাটাগরিতেই রয়েছে শত শত অ্যাপ
যার মধ্যে থেকে আপনার জন্য উপযুক্ত
অ্যাপলিকেশনটি আপনি সহজেই খুঁজে
পেতে পারবেন। আবার হাজার হাজার
অ্যাপ আছে বলেই যে ডেভেলপাররা
চুপ করে আছেন সেরকমও কিন্তু নয়। প্রায়
প্রতিদিনই ডেভেলপাররা তৈরি করে
আসছেন নতুন নতুন আইডিয়ার চমৎকার সব
অ্যাপলিকেশন। আর তাই ২০১৫ সালের
সেরা কিছু অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের
পর আবারো নতুন একটি ছোট্ট সিরিজ
নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম
এবং তা হচ্ছে ২০১৫ সালের সেরা
কিছু অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন। চমৎকার
কিছু জনপ্রিয় অ্যাপলিকেশন নিয়ে
সাজাতে চেষ্টা করেছি ছোট্ট এই
সিরিজটি। আশা করি আপনাদের
ভালো লাগবে। চলুন তাহলে, শুরু করা
যাক।
ও হ্যাঁ, শুরু করার আগে আরও একটি বিষয়
মনে করিয়ে দেই। এই সিরিজের
প্রতিটি অ্যাপলিকেশনই আপনি
বিনামূল্যে গুগল প্লে স্টোর থেকে
ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আর
যদি আপনাদের পছন্দ হয় তবে কিছু কিছু
অ্যাপলিকেশনের আবার প্রো বা
প্রিমিয়াম ভার্সনও পাবেন যাতে
আরও কিছু প্রিমিয়াম সুবিধা থাকবে।
Unclouded
আপনি নিশ্চয়ই জানেন বর্তমানে
রয়েছে অনেক রকম ক্লাউড স্টোরেজ
সুবিধা এবং সেগুলোর মধ্যে কিছু কিছু
ক্লাউড স্টোরেজ আবার বেশ জনপ্রিয়।
যেকোনো ডিভাইস এবং স্থানে দ্রুত
পার্সোনাল ফাইল বা ডকুমেন্টস এক্সেস
করার জন্য এই ক্লাউড সুবিধার জুড়ি নেই।
কিন্তু, সমস্যা হচ্ছে বর্তমানে দেখা
যায় একজন ব্যবহারকারী একই সাথে
বিভিন্ন ধরণের ক্লাউড সেবা ব্যবহার
করে থাকেন। যেমন ধরুন, আমিই গুগল
ড্রাইভ এবং ড্রপবক্স ব্যবহার করে থাকি।
এক্ষেত্রে আমি মাত্র দুটি ক্লাউড
স্টোরেজ সেবা ব্যবহার করি কিন্তু
অনেকেই আছেন অনেকগুলো ব্যবহার
করে থাকেন। এখন, ধরুন আপনার খুব দ্রুত
একটি ফাইল প্রয়োজন। সেই ফাইলটি
আপনি কোন না কোন অনলাইন ক্লাউড
স্টোরেজে আপলোড করে রেখেছেন
কিন্তু অনেকগুলো ক্লাউড সেবা ব্যবহার
করার ফলে আপনি মনে করতে পারছেন
না যে ঠিক কোন ক্লাউড স্টোরেজে
আপনি ফাইলটি রেখেছিলেন! সমস্যা,
তাই না? তবে এই সমস্যা থেকে
আপনাকে সহজেই সমাধান দিতে সক্ষম
Unclouded অ্যাপলিকেশনটি। এই
অ্যাপলিকেশনটি একই সাথে ড্রপবক্স,
গুগলড্রাইভ, জিমেইল এবং ওয়ান ড্রাইভ
সাপোর্ট করে থাকে। আপনি ইচ্ছে
করলেই এই অ্যাপলিকেশনটির মাধ্যমে
আপনার প্রিয় ক্লাউড স্টোরেজের সব
ডকুমেন্টস গুলো দেখতে পারবেন। শুধু
তাই নয়, এটি মূলত আপনাকে আরও
অ্যাডভান্স কিছু সেবা দিতে সক্ষম
যেমন, কোন ফাইলটি সর্বশেষ এডিট/
আপডেট করেছেন, ক্লাউড স্টোরেজের
কতখানি স্পেস আপনি ব্যবহার করেছেন,
একই ফাইল একের অধিক রয়েছে কি না
(ডুপ্লিকেট ফাইলস) এবং কোন কোন
ফাইলগুলো সবচাইতে বেশি জায়গা
দখল করছে ইত্যাদি তথ্য আপনার সামনে
প্রদর্শন করবে।
তবে একটা লিমিটেশন আছে এই চমৎকার
অ্যাপলিকেশনটির এবং তা হচ্ছে
যেহেতু অ্যাপলিকেশনটি ফ্রি, সেহেতু
আপনি ফ্রি ভার্সনে মাত্র দুটি
অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন।
দুটির বেশি অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের
ক্ষেত্রে আপনাকে এর
অ্যাপলিকেশনটির প্রিমিয়াম
ভার্সনটি আনলক করতে হবে। আপনি
প্রিমিয়াম ভার্সন আনলক করলে অবশ্য
যে শুধু বেশি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে
পারবেন তাই নয়, সাথে আপনি পাবেন
অ্যাপলিকেশনটি পিন, প্যাটার্ন বা
পাসওয়ার্ডের সাহায্যে প্রোটেক্ট
করার সুবিধা, ডার্ক থিমসহ আরও কিছু
ফিচারস।
ডাউনলোড লিংক: গুগল প্লে স্টোর
Dreamstime
আপনার
তোলা ছবি
বিক্রি করুন
Deramstime অ্যাপলিকেশনটি যে শুধুমাত্র
ফ্রি তাই নয়, বরং এটি আপনাকে আরও
আপনার তোলা ছবি বিক্রি করার
সুযোগ দিয়ে আপনাকে আর্থিক ভাবে
লাভবান করতে সক্ষম। এখনকার যুগের
চমৎকার কনফিগারেশন যুক্ত
স্মার্টফোনগুলোর ক্যামেরা ইউনিট হয়
বেশ শক্তিশালী, এবং
ব্যবহারকারীদের চাহিদার উপর লক্ষ্য
রেখেই কিন্তু চমৎকার এই ক্যামেরা
ইউনিটগুলো স্মার্টফোনে যুক্ত হয়েছে
কালের বিবর্তনে। আর যেহেতু
ব্যবহারকারীদের চাহিদার উপরেই মূলত
এর আগমন তাহলে বোঝাই যায় যে মানুষ
সেলফোনে ছবি তুলতে ভালোবাসেন।
আপনিও নিশ্চয়ই ভালোবাসেন
সেলফোনে ছবি তুলতে? তাহলে সেই
ভালোলাগার কাজ থেকে যদি দু
পয়সা কামিয়ে নেয়া যায় তাতে
ক্ষতি কি বলুন? আর ঠিক এই কাজটিই
করে আসছে Dreastime অ্যাপলিকেশনটি।
এই অ্যাপলিকেশনটি মূলত আপনাকে
আপনার ছবিগুলো ড্রিমসটাইমের স্টক
ফটোগ্রাফি আর্কাইভে আপলোড করার
সুযোগ দিয়ে থাকে যেখানে লাখ
লাখ মানুষ আপনার ছবিগুলোকে
দেখতে সক্ষম হবে এবং কিনতে
পারবে। চমৎকার একটি আইডিয়া
তাইনা? শুধু যে আপনি ছবি বিক্রিই
করতে পারবেন এই অ্যাপলিকেশনটির
মাধ্যমে তা কিন্তু নয়, আপনি আপনি
আপনার আপনার ছবির সেলের ট্র্যাক
রাখতে পারবেন এবং এটি আপনাকে
কীভাবে আপনার ছবিটিকে
প্রেজেন্ট করলে তা বেশি বিক্রি
হবার সম্ভাবনা থাকে সেরকম কিছু
টিপস দিয়েও আপনাকে সাহায্য করবে।
ডাউনলোড লিংক: গুগল প্লে স্টোর
Drupe
আসলে চমৎকার এই অ্যাপলিকেশনটিকে
নিয়ে একটি ছোট আকারের আলাদা
রিভিউ করা সম্ভব এবং এর যতই প্রশংসা
করা যায় সবই মূলত সিম্পল এই
অ্যাপলিকেশনটি ডিজার্ভ করে। যাই
হোক, চমৎকার এই অ্যাপটি সম্পর্কে ছোট্ট
করেই কিছু বলি আপনাদের।
আপনার কন্টাক্ট লিস্টে অনেকেই
আছেন, তাইনা? কিন্তু লক্ষ্য করে
দেখবেন গড়ে একেক মানুষের সাথে
আপনি একেক ভাবে যোগাযোগ
করছেন। যেমন, আমার ক্ষেত্রেই ধরুন।
আমি কিছু ফ্রেন্ডের সাথে
যোগাযোগ করি ভাইবারে, আবার
কিছু ফ্রেন্ডের সাথে কথা হয় ফেসবুক
মেসেঞ্জারে, কাউকে দেই সেলুলার
নেটওয়ার্কের টেক্সট মেসেজ আবার
কাউকে দেই কল। এমন নয় যে যার সাথে
ভাইবারে যোগাযোগ হয় তাকে কখনও
ফোন দেয়া হয়না, তবে গড়ে দেখতে
গেলে দেখা যায় আমি বেশির ভাগ
সময়েই ভাইবারের বন্ধুগুলোর সাথে
ভাইবারের মাধ্যমেই যোগাযোগ
করছি। আর চমৎকার এই অ্যাপলিকেশনটি
আমাদের এই অভ্যাসটি দেখেই হয়তো
বানানো। Drupe -একই সাথে আপনার
কন্টাক্ট এবং মেসেজিং
অ্যাপলিকেশনগুলোকে ম্যানেজ করতে
সক্ষম। ড্রুপ অ্যাপলিকেশনটিতে আপনার
স্মার্টফোনের কন্টাক্ট গুলো থাকবে
স্ক্রিনের বামে এবং মেসেজিং বা
যোগাযোগের অ্যাপলিকেশন গুলো
থাকবে ডানে। আপনি শুধু আপনার
কন্টাক্টটি বের করে (যার সাথে
যোগাযোগ করতে চাচ্ছেন) ট্যাপ করে
সোয়াইপ করে কন্টাক্টটিকে ডান
পাশের যোগাযোগের মাধ্যমের উপর
(হতে পারে, মেসেঞ্জার, ভাইবার,
কল) ছেড়ে দিতে হবে। ব্যাস, খুব দ্রুত
সেই মানুষটির সাথে আপনার
নির্ধারিত যোগাযোগের
অ্যাপলিকেশনটির সাথে আপনি
কানেক্টেড হয়ে যাবে। আপনি চাইলে
অ্যাপলিকেশনটিকে আপনার স্ক্রিনের
যে কোন স্থানে এক্সেস দিতে
পারেন একটি ছোট্ট আইকন রাখার
যাতে করে যে কোন কাজ করার সময়
আপনি অ্যাপলিকেশনটি ব্যবহার করতে
পারেন। তাই আপনি যদি ইনস্ট্যান্ট
সবার সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে
যোগাযোগ করে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন
তবে আপনার জন্য এটা পারফেক্ট একটি
অ্যাপলিকেশন।
ডাউনলোড লিংক: গুগল প্লে স্টোর
Skype
হয়তোবা আপনার কাছে কিছুটা
প্রেডিক্টেবল লাগছে এবং কিছুটা
অদ্ভুতও! স্কাইপ, এত পুরাতন একটি
অ্যাপলিকেশন কীভাবে ২০১৫ সালের
সেরা অ্যাপলিকেশনের তালিকায়
রাখলাম? প্রথমেই বলে রাখছি, ২০১৫
সালের সেরা বলতে কিন্তু ২০১৫
সালে বাজারে আসা বুঝানো
হচ্ছেনা, ২০১৫ সালে এ পর্যন্ত কোন
অ্যাপ গুলো সবচাইতে বেশি জনপ্রিয়
তাই বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এর
মাধ্যমে। যাই হোক, যোগাযোগের
অনেক অনেক মাধ্যম তৈরি হলেও এখনও
পৃথিবীর যে কারও সাথে, পৃথিবীর যে
কোন প্রান্ত থেকে বিনামূল্যে (মূলত
বিনামূল্যে বললে ভুল হয় কেননা
এক্ষেত্রে আপনার ইন্টারনেট দরকার,
এবং ইন্টারনেটেও আপনাকে মাসিক
একটা বিল দিতে হয়; তবে যেহেতু
ইন্টারন্যাশনাল রোমিং চার্জ অনেক
বেশি এবং আপনি ইন্টারনেট শুধু
স্কাইপের জন্য ব্যবহার করবেন না বরং
ইন্টারনেট আছে বলেই স্কাইপ ব্যবহার
করবেন - তাই সেই হিসেবে
বিনামূল্যেই, কি বলেন?) যোগাযোগ
করার সবচাইতে ভালো পন্থা হচ্ছে
স্কাইপ। ২০০৩ সালে যখন স্কাইপ
ইন্টারনেটের দুনিয়ায় আসে, গ্রাহকরা
ব্যবহার করা শুরু করে ঠিক তখন থেকেই
স্কাইপের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী, এবং
এতগুলো বছর পার হবার পরেও সেই
জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে
স্কাইপ সেবাটি। কর্মক্ষেত্রে যারা
রিমোটলি কাজ করেন এবং ডেইলি
বেসিসে হেড কোয়ার্টারের সাথে
যোগাযোগ রাখতে হয় তাদের জন্যেও
স্কাইপের জুড়ি নেই। অসাধারণ কিন্তু
সিম্পল এই অ্যাপলিকেশনটির মাধ্যমে
আপনি ভিডিও, ভয়েস কল এবং
মেসেজিং এর মাধ্যমে যোগাযোগ
করতে পারবেন। এছাড়াও আরও একটি
চমৎকার ফিচার রয়েছে এবং তা হচ্ছে
স্ক্রিন শেয়ার অপশনটি। অর্থাৎ, আপনি
ডেস্কটপে স্কাইপ ব্যবহার করার সময়
আপনার ডেস্কটপটিকে লাইভ প্রদর্শন
করতে পারবেন আপনার বন্ধুর সাথে।
চমৎকার একটি ফিচার তাইনা?
ডাউনলোড লিংক: গুগল প্লে স্টোর
শেষকথা:
ছোট্ট এই সিরিজের প্রথম পর্বে আজ
এতটুকুই থাক। সবই যদি আজই লিখে দেই
তাহলে তো আর আপনারা নতুন কিছুর
জন্য অপেক্ষা করে থাকবেন না। যাই
হোক, আগামী পর্বে আমার তালিকায়
থাকা নতুন কিছু অ্যাপলিকেশন নিয়ে
আপনাদের সামনে হাজির হবো।
ততদিনে ভালো থাকবেন।
খেয়াল করুন, ২০১৫ সালের বলতে আমি
এপর্যন্ত সকল জনপ্রিয় অ্যাপলিকেশনের
কথা বুঝিয়েছি, ২০১৫ সালেই নির্মিত
হয়েছে এরকম অ্যাপলিকেশনের কথা
বুঝাইনি।