আজকাল এন্ড্রয়েড ফোনগুলো বেশ
জনপ্রিয়। হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সব
দিক থেকে হ্যান্ডসেটগুলো দিন দিন
আরও উন্নত হয়ে উঠছে। কিন্তু এর
ব্যাটারি ব্যাকআপ সমস্যা যেন কোন
ভাবেই এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। আমার
আজকের আয়োজন এমন কিছু কৌশল
নিয়ে যা আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের
ব্যাটারিকে কিছুটা হলেও
দীর্ঘস্থায়ী করবে। চলুন শুরু করি।
→ ডার্ক কালার ব্যাকগ্রাউন্ড
ব্যাবহার করুন। আপনার ফোন যদি
এমোলেড স্ক্রিন বিশিষ্ট হয় তবে এ
পদ্ধতিটি কাজে দিবে কেননা
এমোলেড স্ক্রিন শুধু রঙিন
পিক্সেলগুলোকে আলোকিত করে।
→ অ্যাপ গুলোকেও সম্ভব হলে কালো
করে রাখুন। (ইউজার ইন্টারফেস/স্কিন/
থিম সেটিংস এর মাধ্যমে)
→ অটো ব্রাইটনেস থেকে দূরে থাকুন।
যখন দরকার শুধুমাত্র তখন ব্রাইটনেস
অ্যাডজাস্ট করুন।
→ ভাইব্রেশন বন্ধ করে রাখুন। তবে
চলতি পথে ভাইব্রেশন বন্ধ করার আগে
দুবার ভাবুন, কেননা ভাইব্রেশন বন্ধ
করলে আপনি হয়ত কল/মেসেজের
নোটিফিকেশন টের পাবেন না।
→ অরিজিনাল ব্যাটারি ব্যাবহার
করুন। ডিসপ্লে লাইটের টাইমআউট
কমিয়ে রাখুন। এতে প্রচুর চার্জ
খরচ হয়। একটি রিপোর্টে দেখা যায়
একজন ব্যবহারকারী দৈনিক ১৫০ বার
তার ফোন ডিসপ্লে অন
করেন।
→ প্রয়োজন না হলে মোবাইল
ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখুন। স্মার্ট
ফিচার যেমন এয়ার জেশ্চার, স্মার্ট
স্ক্রলিং বন্ধ করে রাখুন। শুধুমাত্র
প্রয়োজন হলেই সেগুলো ব্যবহার করুন।
→ জিপিএস, এনএফসি, ওয়াই ফাই এবং
ব্লুটুথ শুধু দরকার হলেই অন করুন।
→ যেসব উইজেড দরকার নেই বিশেষ
করে যেগুলো নেটে কানেক্টেড হয়ে
থাকে সেগুলো কম ব্যবহার করুন।
আপডেটেড অ্যাপ ব্যবহার করুন কেননা,
সাধারণত নতুন অ্যাপ অপটিমাইজ করা
থাকে যাতে
ব্যাটারি আরও কম খরচ হয়।
→ ফোনে ব্যাটারি সেভিং মুড
ব্যবহার করুন। যদি সারাদিনে একবার
ইমেইল চেক করেন তাহলে সব সময়ের
জন্য ইমেইল ওপেন করে রাখার কোনো
দরকার নেই।
→ গুগল প্লে স্টোর সেটিং পরিবর্তন
করে ম্যানুয়াল আপডেট করে রাখুন।
“ওকে গুগল” ভয়েস সার্চ অপশনটি খুব সুন্দর
কিন্তু এটিও অনেক চার্জ নষ্ট করে।
→ ফোনে অ্যানিমেশন বন্ধ রাখুন।
ফোনে লোকেশন সার্ভিস বন্ধ রাখুন।
এতোগুলো টিপস পড়ার পর আপনার হয়ত
মনে হতে পারে এতো কিছু বন্ধ করে
রাখলে স্মার্ট ফোন চালানোর দরকার
কী?
হ্যাঁ এই প্রশ্ন শুধু আপনার নয় বরং সব বড় বড়
ফোন নির্মাতারাও এর সমাধান খুঁজছে
যাতে করে ফোনের
ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো যায় আর
এর জন্য প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছে। হয়ত
ভবিষ্যতে এমন দিন আসবে যে আর
ব্যাটারির এ ধরনের সমস্যাগুলো নিয়ে
চিন্তা করতে হবে না।
প্রজুক্তি ও নতুন বাংলাকে জানতে "টাইমস নিউজ বিডি" এর সাথেই থাকুন।
বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০১৫
এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করার ও ব্যাটারীর চার্জ বেশিক্ষন ধরে রাখার জন্য কিছু টিপস।
শনিবার, ১৩ জুন, ২০১৫
যে কোন স্মার্টফোনকে সহজেই রুপান্তরিত করুন হার্ট রেট মনিটরে
বাজারের হাই এন্ড এবং কিছু কিছু মিড
রেঞ্জের ডিভাইসে বর্তমানে হার্ট রেট
মনিটর ফিচারটি অনেক বেশি জনপ্রিয়।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ঐযে, 'টাকা'। এখন
পর্যন্ত লো এন্ডের কোন স্মার্টফোনে
যেহেতু এই ফিচারটি অ্যাভেইলেবল হয়নি
সেক্ষেত্রে অনেকের ইচ্ছে থাকলেও
এই ফিচারটি ব্যবহার করা হয়ে ওঠেনি।
তবে, আমি আজ আপনাদের সাথে এমন
একটি ছোট্ট ট্রিক শেয়ার করতে যাচ্ছি
যার মাধ্যমে আপনিও আপনার অ্যান্ড্রয়েড
ডিভাইসটিকে হার্ট রেট মনিটর হিসেবে
ব্যবহার করতে পারবেন। কীভাবে? চলুন
জেনে নেয়া যাক।
প্রথমে চলুন, স্মার্টফোনে থাকা এই হার্ট
রেট মনিটরের টেকনোলোজি মূলত
কীভাবে কাজ করে তা জেনে নেয়া
যাক। স্মার্টফোনে থাকা এসকল হার্ট রেট
মনিটরে থাকে পালস অক্সিমিটারস যা
মূলত আমাদের ফিঙ্গারপ্রিন্টের রঙের
পরিবর্তনকে ট্র্যাক করে থাকে। এই রঙের
পরিবর্তন হয়ে থাকে আমাদের স্কিনের
নিচে থাকা পালসেটিং ব্লাডের
কারণে। এই সম্পূর্ণ প্রসিডিউরটিতে মূলত
দরকার হয় একটি লাইট সোর্স এবং একটি
মিজারমেন্ট সফটওয়্যার। তাই, একটি
ক্যামেরা অ্যাপলিকেশনের মাধ্যমে
আমরা এই বেসিককে কাজে লাগিয়ে
আমাদের স্মার্টফোনে যোগ করতে পারি
চমৎকার এই হার্ট রেট মনিটর সিস্টেমটি।
গুগল প্লে স্টোরে আপনি খুঁজলেই
অনেকগুলো হার্ট রেট মনিটর
অ্যাপলিকেশন পেয়ে যাবেন। কিছু কিছু
ফিটনেস ইন্ডাস্ট্রির অ্যাপলিকেশনের
অনেক বড় বড় নামের অ্যাপলিকেশনও
দেখতে পাবেন, যেমন - Runtastic Heart-
Rate Monitor, তবে আমার কাছে যে
অ্যাপলিকেশনটি বিশ্বাসযোগ্য মনে
হয়েছে তা হলো Instant Heart-Rate। এই
অ্যাপলিকেশনটি যে দুটি কারণে আমার
পছন্দের তালিকায় রয়েছে তা হচ্ছে, এটি
চমৎকার ফলাফল দেয়ার সাথে সাথে
ব্যাটারি ড্রেন খুবই কম করে, এবং এই
অ্যাপলিকেশনটি ইন্সটলের সময় পারমিশনও
খুবই কম চায়। এছাড়াও সিম্পল এই
অ্যাপলিকেশনটির আকারও অনেক ছোট।
Instant Heart-Rate অ্যাপলিকেশনটি মূলত
দিনের বিভিন্ন সময় বেশ কয়েকবার একজন
ব্যবহারকারীর হার্ট রেট ট্র্যাক করে
থাকে এবং এই ট্র্যাকিং ইনফরমেশনগুলো
খুব সহজেই ডিটেইলস আকারে
অ্যাপলিকেশনটির টাইম লাইন থেকে
দেখে নেয়া যায়। আপনি ইচ্ছা করলে এই
ট্র্যাক তথ্যগুলো একটি azumio অ্যাকাউন্টে
সংরক্ষণ করতে পারেন, অথবা গুগল ফিটেও
সংরক্ষণের সুবিধা দিয়ে থাকে এই
অ্যাপলিকেশনটি। শুধু হার্ট রেটি মনিটরই
নয়, বরং এই অ্যাপলিকেশনটি অন্যান্য
স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য দিয়েও আপনাকে
সাহায্য করবে তবে সেই ইনফোগুলো
ভ্যারি করবে আপনার বয়স, ওজন এবং
জেনারেল ফিটনেসের সাথে।
হার্ট রেট মনিটর অ্যাপলিকেশনটি যদি
কাজ করতে করতে স্টাক হয়ে যায় তবে এর
দুটি কারণ হতে পারে,
আপনি খুব ভর দিয়েছেন,
আপনার আঙ্গুল সরে গিয়েছে।
ভালো ফলাফল পাবার জন্য সবচাইতে
ভালো হয় যদি আপনার আঙ্গুল আপনি
আপনার ডিভাইসের ফ্লাসের উপর খুবই
হালকা ভাবে রাখেন এবং প্রসিডিউর
চলাকালীন সময়ে আঙ্গুলের মুভমেন্ট না
হয়। তারপরও যদি স্টাক হয় তবে প্রথম থেকে
না হয় আবার শুরু করুন।
অ্যাপলিকেশনটির একটি ড্রব্যাক সাইড
রয়েছে এবং আসলে এই ড্রব্যাকটি আমরা
যেকোনো ধরণের ফ্রি অ্যাপলিকেশনেই
ফেস করে থাকি এবং তা হচ্ছে এটি
মাঝে মাঝেই আপনাকে পপ আপ অ্যাড
প্রদর্শন করবে, তবে চমৎকার সুবিধা যেহেতু
এই ছোট্ট অ্যাপলিকেশনটি থেকে আমরা
পাচ্ছি সেক্ষেত্রে এইটুকু অসুবিধা সহ্য
করা যায়, কি বলেন? তাছাড়াও আপনারা
যদি চিন্তা করে থাকেন যে এই সমস্যা
থেকে মুক্তি পাবার জন্য আপনারা এর
পেইড ভার্সনটি ব্যবহার করবেন তবে আমার
মনে হয়না এটা কোন ভালো সিদ্ধান্ত
হবে। কেননা, আমি এর পেইড ভার্সনটিও
ব্যবহার করে দেখেছি এবং পেইড
ভার্সনে এক্সট্রা কোন ফিচার আমি
দেখতে পাইনি। তাই আমার মতে, শুধুমাত্র
অ্যাড স্কিপ করার জন্য পেইড
অ্যাপলিকেশনটি কেনার কোন প্রয়োজন
নেই।
অ্যাপটি আপনারা প্লে স্টোর থেকে
বিনামূল্যেই ডাউনলোড করে নিতে
পারবেন।
ডাউনলোড লিংক: গুগল প্লে স্টোর।
শেষ কথা:
যারা ভাবছেন যে এটা সম্ভব না বা কাজ
করবে না, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি,
আমারও ধারণা তাই ছিল। কিন্তু আমি এর
ফলাফলের সাথে স্যামসাং গ্যালাক্সি
এস ৫ ডিভাইসটির হার্ট রেট মনিটরের
ফলাফল মিলিয়ে প্রায় ৭৫ শতাংশ মিল
পেয়েছি। তাই, আশা করি আপনারাও এর
ফলাফলে নিরাশ হবেন না। যাই হোক, আজ
আর নয়, ভালো থাকবেন সবাই।
ফ্লিপকার্ট থেকে স্মার্টফোন কিনে ক্রেতা হাতে পেলেন আম!
ভারতের শীর্ষ ই-কমার্স
ওয়েবসাইট ফ্লিপকার্ট থেকে একটি
জেনফোন অর্ডার করেছিলেন
তেলেঙ্গানা রাজ্যের এক ব্যক্তি। তবে
শিলুভেরি স্রুচরন নামের ওই ক্রেতার
হাতে স্মার্টফোনের পরিবর্তে পৌঁছে
দেওয়া হল আম!
স্রুচরন জানান, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে
২৬শে মে তিনি ফ্লিপকার্টে
স্মার্টফোনটি কেনার জন্য অর্ডার
দিয়েছিলেন। এ মাসের ৮ তারিখ
ফেডেক্সের মাধ্যমে তার কাছে
স্মার্টফোনের বক্সটি পৌঁছে দেওয়া হয়।
আর বক্স খুলেই তিনি অবাক হয়ে দেখেন
স্মার্টফোনের বদলে সেখানে দুটি আম
রাখা।
এরপর তিনি ফ্লিপকার্ট কাস্টমার কেয়ারে
যোগাযোগ করলে সেখান থেকে তাকে
রিফান্ডের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। একদিন পর
টাকা ফেরত না পেয়ে আবারও তিনি
ফোন করেন কাস্টমার কেয়ারে। এবার
তাকে বলা হয় একদিনের মধ্যে তার
স্মার্টফোনটি পাঠানো হবে। তবে আরও
একদিন পার হয়ে গেলেও স্মার্টফোন
কিংবা টাকা, কোনটাই না পেয়ে
আবারও তিনি ফোন করেন ফ্লিপকার্ট
কাস্টমার কেয়ারে। এবার তাকে অবাক
করে দিয়ে সেখান থেকে বলা হয়, কোন
কারণ ছাড়াই পণ্য ফেরত পাঠানোর কারণে
তিনি রিফান্ড পাবেন না। এছাড়া এই
ব্যাপারটি কোথাও প্রকাশ না করতে
তাকে হুমকিও দেওয়া হয়।
তবে স্রুচরন ভোক্তা অধিকার বিষয়ক
ফোরামের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি
নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন
সংবাদমাধ্যমকে।
ফ্লিপকার্ট থেকে স্মার্টফোন কিনে ক্রেতা হাতে পেলেন আম!
ভারতের শীর্ষ ই-কমার্স
ওয়েবসাইট ফ্লিপকার্ট থেকে একটি
জেনফোন অর্ডার করেছিলেন
তেলেঙ্গানা রাজ্যের এক ব্যক্তি। তবে
শিলুভেরি স্রুচরন নামের ওই ক্রেতার
হাতে স্মার্টফোনের পরিবর্তে পৌঁছে
দেওয়া হল আম!
স্রুচরন জানান, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে
২৬শে মে তিনি ফ্লিপকার্টে
স্মার্টফোনটি কেনার জন্য অর্ডার
দিয়েছিলেন। এ মাসের ৮ তারিখ
ফেডেক্সের মাধ্যমে তার কাছে
স্মার্টফোনের বক্সটি পৌঁছে দেওয়া হয়।
আর বক্স খুলেই তিনি অবাক হয়ে দেখেন
স্মার্টফোনের বদলে সেখানে দুটি আম
রাখা।
এরপর তিনি ফ্লিপকার্ট কাস্টমার কেয়ারে
যোগাযোগ করলে সেখান থেকে তাকে
রিফান্ডের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। একদিন পর
টাকা ফেরত না পেয়ে আবারও তিনি
ফোন করেন কাস্টমার কেয়ারে। এবার
তাকে বলা হয় একদিনের মধ্যে তার
স্মার্টফোনটি পাঠানো হবে। তবে আরও
একদিন পার হয়ে গেলেও স্মার্টফোন
কিংবা টাকা, কোনটাই না পেয়ে
আবারও তিনি ফোন করেন ফ্লিপকার্ট
কাস্টমার কেয়ারে। এবার তাকে অবাক
করে দিয়ে সেখান থেকে বলা হয়, কোন
কারণ ছাড়াই পণ্য ফেরত পাঠানোর কারণে
তিনি রিফান্ড পাবেন না। এছাড়া এই
ব্যাপারটি কোথাও প্রকাশ না করতে
তাকে হুমকিও দেওয়া হয়।
তবে স্রুচরন ভোক্তা অধিকার বিষয়ক
ফোরামের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি
নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন
সংবাদমাধ্যমকে।
মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০১৫
দেবিদ্বারে স্কুলগেইট থেকে তুলে নিয়ে ৪ ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করলো সন্ত্রাসীরা : প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত
টাইমস নিউজ ডেস্কঃ
কুমিল্লার দেবিদ্বারে ‘দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল
পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে আসা ৪ শিক্ষার্থীকে
গেইট থেকে তুলে নিয়ে বেধরক পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছ
একদল সন্ত্রাসী। ওই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীর স্বজনেরা
‘কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক’ অবরোধ করে। প্রসাশনের হস্তক্ষেপে
এবং অপরাধীদের গ্রেফতারপূর্বক সুষ্ঠবিচারের আশ্বাস প্রদান,
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিতের মধ্য দিয়ে অবরোধ
প্রত্যাহার করা হলেও ওই ঘটনায় উপজেলা সদরে চরম উত্তেজনা
বিরাজ করছে। আহতদের দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে ভর্তী করা হয়েছে। অবরোধ চলাকালে সড়কের
দু’পার্শ্বে বিপুল সংখ্যক যান ও মালবাহী পরিবহন আটকে যায়,
ফলে নারী ও শিশুদের চরম দূভোগ পোহাতে হয়।
পুলিশ, স্থানীয় ও প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকালে
দেবিদ্বার পৌর এলাকার বানিয়াপাড়া গ্রামের মিজানুর
রহমান বাবুর্চি দু’পুত্র ‘দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট
উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ মাজহারুল ইসলাম,
দশম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ মারুফ হোসেন, একই গ্রামের বাবুল
সরকারের পুত্র নবম শ্রেণীর ছাত্র সোহান সরকার ও মীর
হোসেন’র পুত্র অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ফরহাদ হোসেন অর্ধবার্ষিক
পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে বিদ্যালয়ে ঢুকার সময় গেইট থেকেই
জাভেদ পাঠান ও ফারুকের নেতৃত্বে বিল্লাল, রাব্বী, মালি,
সবুজ পাঠান, বাবু পাঠান, অলি, নূরুন্নবী, সাইফুল, সোহেল,
সোহেল আহমেদ, সৈকত, জাকির, সুমন (হানিফ), জাভেদ,
সোহান, বাদল, ইমনসহ ১৫/২০জন সন্ত্রাসী তাদের রিক্সায় তুলে
নিয়ে দেবিদ্বার আলহাজ্ব জোবেদা খাতুন মহিলা কলেজ’র
সামনে বেধরক কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা
তাদের উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
ভর্তী করে। ওই ঘটনায় আহতদের স্বজনদের আহবানে
বানিয়াপাড়া গ্রামের অধিবাসীরা ঘটনার প্রতিবাদে দুপুর
১২টা থেকে ‘কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক’ অবরোধ করে রাখে।
প্রায় পৌনে এক ঘন্টা অবরোধ চলার পর দেবিদ্বার থানার
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান, উপ-পরিদর্শক আবু
ইউছুফ, উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুুরুল ইসলাম মজুমদারের নেতৃত্বে একদল
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা
চালায়। পরে উপজেলা পরিষদ’র সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান
একেএম সফিকুল আলম কামাল, ব্যবসায়ি মনিরুল ইসলামসহ
এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে এবং পুলিশের
পক্ষ থেকে অপরাধীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির
আশ্বাসে অবরোধকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।
আহত শিক্ষার্থী মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও মোঃ মারুফ
হোসেন’র পিতা মোঃ মিজানুর রহমান বাবুর্চি জানান,
দেবিদ্বার গ্রামের আকামত আলী পাঠানের পুত্র জাভেদ
পাঠান (১৮) ‘দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট উচ্চ
বিদ্যালয়’র ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র একই বিদ্যালয় ও বহিরাগত
বখাটেদের একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল নিয়ে বিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীদের অকারনে প্রায়ই মারধর করে আসছিল এবং
ছাত্রদের পকেটে থাকা টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যেত।
কেউ তার প্রতিবাদ করলে পরিনামে আরো বেশী মার খেতে
হত। তাই প্রতিবাদ করার সাহসও কারোর নেই। বিষয়টি প্রধান
শিক্ষকের নিকট অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি
শিক্ষার্থীরা। আমার দু’ছেলেসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা
পরীক্ষা দিতে গেলে তাদের ৪ জনকে তুলে নিয়ে
নির্মমভাবে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। ওই
ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও
জানান তিনি।
দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ’র সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান
একেএম সফিকুল আলম কামাল বলেন, জাভেদ পাঠানের
অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে যেয়ে বানিয়াপাড়া
গ্রামের শিক্ষার্থীরা গত দু’সপ্তাহে একাধিকবার হামলার
শিকার হতে হয়। ওই ঘটনায় দু’গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে
একাধিক সালিসে ঘটনা মিমাংসা করা হয়। অর্ধবার্ষিকী
পরীক্ষা চলাকালে গত ক’দিন ধরে সন্ত্রাসীরা
বানিয়াপাড়া গ্রামের শিক্ষার্থীদের হুমকী দিয়ে আসছিল।
আজ আবারো এ হামলা। বানিয়াপাড়া গ্রামের প্রায়
দু’শতাথিক শিক্ষার্থী ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে বিদ্যালয়ে আসতে
হচ্ছে।
‘দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, জাভেদ
পাঠান সন্ত্রাসী প্রকৃতির ছেলে, সে অত্র বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ
শ্রেণীতে পড়লেও তার বয়স হবে ১৮ বছরের উপরে, ক্লাশ
কিংবা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেনি কখনো। শিক্ষার্থীদের
অভিযোগের কারনে পরিচালনা পর্ষদকে বিষয়টি
জানিয়েছি। আজ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী কম হওয়ায় পরীক্ষা
স্থগিত ঘোষনা করতে বাধ্য হয়েছি।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ মিজানুর
রহমান বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। অপরাধিদের গ্রেফতার পূর্বক
আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে। পরীক্ষা চলাকালে
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় বিদ্যালয়ের আশপাশে পুলিশ
মোতায়েন থাকবে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম
বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা এবং হামলার
কারনে পরীক্ষা বন্ধ, সড়ক অবরোধের ঘটনায় দায়ি সন্ত্রাসীরা
যতবড় শক্তিধর হোকনা কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।